ঢাকাবুধবার , ২৪ মে ২০২৩
  1. ই পেপার
  2. ক্যাম্পাস
  3. খেলা
  4. চাকরি
  5. জাতীয়
  6. জীবনযাপন
  7. ধর্ম
  8. পাঠক কলাম
  9. পাবনা জেলা
  10. বাণিজ্য
  11. বাংলাদেশ
  12. বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ সংবাদ
  15. বিশ্ব
আজকের সর্বশেষ সবখবর

কাজী নজরুল ইসলামের সমাজ চেতনা

বার্তা কক্ষ
মে ২৪, ২০২৩ ৯:৫২ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

ড. মো. মনছুর আলম
কাজী নজরুল ইসলামের সমাজ চিন্তা ছিল কুসংস্কার মুক্ত। সমাজ বলতে তিনি বাঙালি মুসলমান সমাজকে বুঝিয়েছেন; হিন্দু-মুসলমান সমাজকে তিনি একতার বন্ধনে বাঁধতে চেয়েছেন। তবে তিনি হিন্দু নবজাগরণ হতে মুসলমানদের শিক্ষা গ্রহণের দিক-নির্দেশনা দিয়েছেন। সিপাহী বিদ্রোহোত্তর ইংরেজ রাজশক্তি এদেশে (উরাধরফ ধহফ জঁষং) নীতি অবলম্বন করে দেশ শাসন করত। তারা শাসন সংহত ও দীর্ঘস্থায়ী করার মানসে হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গার প্রধান ইন্দনদাতা ভূমিকা গ্রহণ করেন। রাজ্যহারা মুসলমানের প্রতি ব্রিটিশ রাজরোষ এবং তাদেরই মদদে শিক্ষা ও অর্থনৈতিকভাবে বলশালী হিন্দুর সাথে এ অসম যুদ্ধে মুসলমানের শক্তি প্রাণক্ষয় এবং বিপর্যয় ছিল আবশ্যম্ভাবী। নজরুল ইসলাম এ সত্য উপলব্ধি করেন এবং হিন্দু-মুসলিম মিলিত শক্তির দ্বারা জালিম ব্রিটিশ শাসকের উৎখাতের আহ্বান জানান। “যে লাঠিতে আজ টুটে গম্বুজ, পড়ে মন্দির-চুড়া,/সেই লাঠি কালি প্রভাতে করিবে শত্রু দুর্গ গুড়া!/প্রভাতে হবে না ভায়ে-ভাবে রণ,/চিনিবে শত্রু, চিনিবে স্বজন।/করুক কলহ- জেগেছে তো তবু বিজয় কেতন উড়া।/ল্যাজে তোর যদি লেগেছে আগুন, স্বর্ণলঙ্কা পুড়া।” (হিন্দু মুসলিম যুদ্ধ, ফনিমনসা, আবদুল কাদির সম্পাদিত, নজরুল-রচনাবলী, প্রথম খ-, পৃ. ৩৩৬। নজরুল ইসলাম তাঁর নবযুগ, ডায়ারের স্মৃতিস্তম্ভ, ছুঁৎমার্গ প্রভৃতি প্রবন্ধে ভারতের জাতীয় জাগরণের জন্য হিন্দু-মুসলমানের মিলনকে ঐকান্তিকভাবে কামনা করেছেন। এই মিলনকে তিনি জাতীয় জাগরণের জন্য অপরিহার্য মনে করলেও এবং সম্পূর্ণ অসাম্প্রদায়িক হওয়া সত্ত্বেও তিনি উভয় সম্প্রদায় হতেই সমভাবে আঘাত পেয়েছেন। সে সময় বহুল প্রচলিত ‘প্রবাসী’ পত্রিকা ‘শানিবারের চিঠি’ নামক কলামে ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দ হতে অনেক বছর নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করতে থাকে। অপরদিকে মুসলিম সমাজও তাঁকে নির্মমভাবে আঘাত করেছে। মুহাম্মদী, ইসলাম দর্শন, মোসলেম দর্শন, মোসলেম জগৎ প্রভৃতি পত্র-পত্রিকায় নজরুলকে কাফের, শয়তান, ইসলামের শত্রু, ধর্মজ্ঞানশূন্য বুনো-বর্বর ইত্যাদি শব্দ ও বাক্যে কুটক্তি করা হয়েছে।(ইসলাম দর্শন, ৩য় বর্ষ, ২য় সংখ্যা, কার্ত্তিক, ১৩২৯ বঙ্গাব্দ)। আনোয়ার হোসেনকে লেখা পত্রে এর কারণ হিসেবে তিনি নিজে বলেন, “বাংলার অশিক্ষিত মুসলমানরা গোঁড়া এবং শিক্ষত মুসলমানরা ঈর্ষাপরায়ণ, মূলত এটাই ছিল বিপত্তির কারণ।”
গোঁড়ামি, রক্ষণশীলতা, ধর্মান্ধতা, কুসংস্কার ও আচারসর্বস্বতা থেকে দেশবাসী, বিশেষত স্বধর্মীদের মুক্তির জন্য নজরুল ইসলাম আজীবন সংগ্রাম করে গেছেন। তিনি বিশ্বাস করতেন ¯েœহেরে হাত বুলিয়ে নয় ‘এ কুম্ভকর্ণ মার্কা বাংলার মুসলিম সমাজকে জাগাতে হলে আঘাত দিয়ে জাগাতে হবে।’ তিনি উপলব্ধি করতেন, মুসলমানের আত্মজাগরণের ওপরই বাংলা তথা উপমহাদেশের স্বাধীনতা নির্ভরশীল। তাই তাঁর গান, কবিতা ও উপন্যাসে বিদ্রোহের সুর ধ্বনিত হয়েছে। আর এ বিদ্রোহ ছিল অন্যায় অত্যাচার, নিপীড়ন, শোষণ ও কুসংস্কারের বিরুদ্ধে। “মহা-বিদ্রোহী রণ কান্ত/আমি সেই দিন হব শান্ত,/যবে উৎপীড়িতের ক্রন্দন-রোল আকাশে বাতাসে ধ্বনিবে না/অত্যাচারীর খড়গ কৃপাণ ভীম রণ-ভুমে রণিবে না-/বিদ্রোহী রণ ক্লান্ত/আমি সেই দিন হব শান্ত।” (বিদ্রোহী, অগ্নি-বীণা, আব্দুল কাদির সম্পাদিত, নজরুল রচনাবলী, ১ম খ-, পৃ. ১২)।
বাংলার মুসলমাানের গোঁড়ামী ও কুসংস্কারের জন্য এক শ্রেণির মোল্লাগণ যে দায়ী ছিল তা তিনি সনাক্ত করেছেন। তাদের অজ্ঞতা, অদূরদর্শিতা ও স্বার্থপরাতা যে স্বধর্মীদের প্রভূত ক্ষতি করেছে তা তিনি তুলে ধরেছেন। এছাড়া শিক্ষার অভাবকেও তিনি দায়ী করেছেন। এ সকল অশিক্ষিত অর্ধশিক্ষিত মুসলমানদের জাগরণ প্রবাহে সম্পৃক্ত করার জন্য তাঁদের উপযোগী সাহিত্য রচনার তাগিদও তিনি অনুভব করেছেন। তিনি মনে করতেন ‘আমির হামজা’, ‘সোনাভান’ ও কাছাসুল আম্বিয়ার মত জন সাহিত্য রচনা দ্বারাই এদের জাগানো সম্ভব। তিনি আরো মনে করতেন এদেরকে টেনে তোলার জন্য শিক্ষিত শ্রেণিকে মাঠে নামতে হবে। অর্থাৎ মুসলিম সমাজের উন্নয়নের জন্য চাই শিক্ষিত, ত্যাগী নেতার।
তৎকালীন বাংলার জনসংখ্যার শতকরা প ান্ন জন মুসলমান ছিল বিধায় তারা ছিল সংখ্যাগরিষ্ঠ জাতি। তার পরেও তারা হিনমন্যতা, নিগৃহীত, বিপর্যস্ত ও নির্জীব ছিল। স্বধর্মীদের এ নির্জীবতা ও দুর্বলতায় তিনি অত্যন্ত ব্যথিত ও লজ্জিত ছিলেন। এ সংখ্যাগরিষ্ঠ জনগোষ্ঠী আবার বিভিন্ন মতবাদ ও ফেরকায় বিভক্ত ছিল। যেমন- শিয়া, সুন্নি, শেখ, সৈয়দ, মোগল, পাঠান প্রভৃতি। এছাড়া সমাজে আশরাফ-আতরাফ ভেদাভেদাও লক্ষ্য করা যায়। ফলে নিজেদের মধ্যে হিংসা, ঈর্ষা, বিদ্বেষ ও কলহে লিপ্ত থাকায় বাংলার মুসলিম সমাজ এক বিপর্যয় অবস্থার সম্মুখীন হয়। নজরুল ইসলাম এ অবস্থা হতে বেরিয়ে আসার এবং ঐক্যবদ্ধ মুসলিম জাতি হিসেবে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার আহ্বান জানান।
ব্রিটিশ শাসন রাজ কৃষকের উপর বহুমুখী শাসন-শোষণের ফলে তারা সর্বশ্রান্ত, পর্যুদস্ত ছিল। নজরুল ইসলাম ‘কৃষাণের গান’ কাবিতায় বাংলার কৃষকদের জেগে উঠার আহ্বান জানান। এছাড়া ‘চাষার গান’, ‘চাষীর গীত’ কবিতায়ও একই সুর অনুরণিত হয়েছে এবং ধর্মবোধ জাগ্রত করার চেষ্টা করেছেন। “চাষ কর দেহ-জমিতে।/হবে নানা ফসল এতে।/নামাজে জমি ‘উগালে’,/রোজাতে জমি ‘সামালে’,/কালেমায় জমিতে মই দিলে/চিন্তা কি হে এই ভবেতে।।” (‘চাষার গীতি’ সংযোজন, আবদুল কাদির সম্পাদিত, নজরুল রচনাবলী, ১ম খ-, পৃ. ৩১১)। ‘ওঠরে চাষী’ কবিতায় তিনি যে সকল দস্যু তাদের হাঁড়ির ভাতে হাত দেয়, চাষীর রক্ত শোষণ করে যারা ধনী-বণিক হয় তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। তিনি তাদের আশ্বস্ত করেন এই বলে যে আল্লাহর রহমত তাদের সঙ্গেই আছে অতএব ভয় নেই।
‘কৃষকের ঈদ’ কবিতায় তিনি মুসলিম সমাজের প্রতি ঈমাম সাহেবের যে দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে তা তুলে ধরেছেন। নির্জীব, মৃতপ্রায় কৃষকের বুকে শক্তি ও মুখে হাসি ফোটানোর জন্য ইমাম বা ধর্মীয় নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। ইসলাম পৃথিবীতে এসেছে নির্যাতিত, নিপীড়িতদের পাশে দাঁড়াতে, মুূখম্লান মুখে ভাষা জোগাতে। তোতা পাখির মতো ধর্মগ্রন্থ তেলাওয়াত কিংবা নামাজ পড়া, রোজা রাখা এটা ব্যক্তিগত ইবাদত। ইসলামের সার্বজনীনতা হলো নিগৃহীত, নিপীড়িত শ্রেণি, কৃষক, শ্রমিক, মুটে-মুজুরসহ সকল অসহায় মানুষের পাশে দাঁড়ানো। এ দেশের শ্রমিক শ্রেণিকে জাগতেও তিনি বিভিন্ন গান, কবিতা, প্রবন্ধ রচনা করেন। ‘শ্রমিক মজুর’ রচনায় তারই প্রতিফলন লক্ষ্য করা যায়। ‘রুদ্র মঙ্গল’ প্রবন্ধে তিনি বলেন, “জাগো জনশক্তি! হে আমার অবহেলিত পদপিষ্ট কৃষক, আমার মুটে-মজুর ভাইরা! তোমার হাতের এ লাঙল আজ বলরাম-স্কন্ধে হালের মত ক্ষিপ্ত তেজে গগনের মাঝে উৎক্ষিপ্ত হয়ে উঠুক, এই অত্যাচারীর বিশ্ব উপ্ড়ে ফেলুক-উলটে ফেলুক।”
কাজী নজরুল ইসলামের নারী স্বাধীনতা ও অধিকার সম্বন্ধে চিন্তাধারা ছিল অতি উচ্চ। ইসলাম প্রদত্ত নারী স্বাধীনতার স্বপক্ষেও তাঁর কন্ঠ ছিল উচ্চকিত। তিনি নারী পুরুষের সমান অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য লেখনী ধারন করেন। বিশ্বে যা কিছু মহান সৃষ্টি চির কল্যাণকর,/অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।” (‘নারী’, সি তা, কাজী নজরুল ইসলাম, পৃ. ৬৪)।
বাংলার মুসলিম নারী সমাজ যেন ঘরে বন্দি না থাকেন সে জন্য তিনি ইসলামের প্রথম যুগের অনেক মহীয়সী নারীর উদাহরণ তুলে ধরেছেন। পর্দার যে নিয়ম ইসলামে প্রচলিত আছে যে নিয়ম রক্ষা করেও দেখা যায় প্রথম যুগের মুসলিম নারীরা যুদ্ধ ক্ষেত্রে আহত সৈনিকের সেবা করেছেন অথবা অনেক সময় রণক্ষেত্রে পুরুষের পাশাপাশি কিংবা কিছুটা নেপথ্যে থেকে লড়াই করেছেন এবং যুদ্ধের সময় অস্ত্র সস্ত্র আগানো এবং সৈনিকদের বিভিন্ন প্রকার সাহায্য সহযোগিতা করেছেন। এর মহত্তম উদাহরণ হিসেবে হযরতের সাহায্যকারিনী তাঁর স্ত্রী মহীয়সী খাদিজার কথা তিনি উল্লেখ করেন।
নজরুল ইসলাম নারীকে অবরুদ্ধ রাখার বিরুদ্ধে উচ্চকণ্ঠ ছিলেন। তিনি অবরোধ প্রথাকে ইসলামি আইন মনে করেন নি। তাই তিনি গদ্যে লেখেন, “ইসলামের প্রথম ঊষার ক্ষণে সুবহ সাদেকের কালে যে কল্যানী নারী শক্তিরূপে আমাদের দক্ষিণ পর্শ্বে অবস্থান করে আমাদের শুধু সহধর্মিণী নয়, সহকর্মিণী হয়েছিলেন- যে নারী সর্বপ্রথম স্বীকার করলেন আল্লাহকে তাঁর রসূলকেÑ তাঁকেই আমরা রেখেছি দুঃখের দূরতম দুর্গে বন্দিনী করে সকল আনন্দের, সকল খুশীর হিংসায় মহররম করে। —–এতদিন আমরা আমাদের মাতা-ভগ্নী-কন্যা-জায়াদের যে অপমান করেছি আজও তার প্রায়শ্চিত্ত যদি না করি তবে কোন জন্মে এ জাতির আর মুক্তি হবে না।”
তৎকালীন সমাজে পর্দার নামে নারীদের ঘরে বন্দি তথা অবরোধ করে রাখার ব্যবস্থা ছিল- যা মসলিম সমাজের অগ্রগতির জন্য অন্যতম বাধা। অবশ্য ইসলামে এ ধরনের অবরোধের বিধান কোন সময়ই ছিল না। অবরোধের মত এ ধরনের অনুসাসন সমাজে দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছিল। নজরুল ইসলাম মনে করেন, নারীকে যদি এই মোল্লা প্রশাসনের কঠোরতা থেকে মুক্ত করা না যায় তাহলে মুসলিম সমাজে ‘খাওয়ালা’ ও ‘খালিদা’র মত বীর নারীর পুনরার্বিভাব হবে না। ‘আঁধার হেরেমে বন্দিনী হলো সহসা আলোর মেয়ে,/সেই দিন হতে ইসলাম গেলো গ্লানির কালিতে ছেয়ে, লক্ষ খালিদা অসিবে, যদি এ নারীরা মুক্তি পায়।” শাহাবুদ্দীন আহমদ, পৃ. ১৩৮)।
কাজী নজরুল ইসলাম বাংলাদেশের ‘জাতীয় কবি’, বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে ‘বিদ্রোহী কবি’ এবং আধুনিক বাংলা গানের জগতে ‘বুলবুল’ নামে খ্যাত। নজরুল ইসলাম তাঁর সৃষ্টকর্ম, কর্মধারা, কর্মপন্থা ও চিন্তা-চেতনার যে বিশাল ভা-ার রেখে গেছেন তা গুণে ও সৌন্দর্যে বিপুলভাবে সমৃদ্ধ। নজরুল ইসলাম যেমন আমাদের অতীতেও বিপুল মনোযোগ কেড়েছেন, এখনো কাড়ছেন এবং ভবিষ্যতেও কাড়বেন। নজরুল সাহিত্যে যে সর্বজনীন আবেদন, নজরুল ইসলামের অসাম্প্রদায়িক দৃষ্টিভঙ্গি, বাংলার পরাধীনতা, সা¤্রাজ্যবাদ, ঔপনিবেশবাদ, মৌলবাদ এবং দেশি-বিদেশি শোষণের বিরুদ্ধে বজ্রমুখ লেখনী, জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল মানুষের আত্মোদ্বোধন ও উন্নয়ন, স্বধর্মী বাংলার মুসলমানের জাগরণ তথা সর্বোপরি তাঁর চিন্তাধারা ভবিষ্যৎ গবেষণাকে অনুপ্রণিত করবে।
নজরুল ইসলাম ২৫ মে ১৮৯৯ খ্রিস্টাব্দে (১৩০৬ বঙ্গাব্দের ১১ জৈষ্ঠ) পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোলের চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। সাম্য, দ্রোহ, বাংলা গানের বুলবুল কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪ তম জন্ম বার্ষিকী আজ। জন্মদিনে জানাই কবির প্রতি অশেষ শ্রদ্ধার্ঘ্য।[ কবি ও প্রাবন্ধিক, সভাপতি- সাহিত্য ও বিতর্ক ক্লাব পাবনা।]

 

দৈনিক এরোমনি প্রতিদিন ডটকম তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন অনলাইন নিউজ পোর্টাল