ঢাকামঙ্গলবার , ১৮ জুলাই ২০২৩
  1. ই পেপার
  2. ক্যাম্পাস
  3. খেলা
  4. চাকরি
  5. জাতীয়
  6. জীবনযাপন
  7. ধর্ম
  8. পাঠক কলাম
  9. পাবনা জেলা
  10. বাণিজ্য
  11. বাংলাদেশ
  12. বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ সংবাদ
  15. বিশ্ব

বানিজ্যিক চাষ না হলেও ঈশ্বরদীর খানমান যাচ্ছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে

বার্তা কক্ষ
জুলাই ১৮, ২০২৩ ৯:০৬ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

ফারুক হোসেন টুটুল (ঈশ্বরদী প্রতিনিধি) : প্রথম দেখাতে কচু পাতা বলে ভুল করবেন অনেকেই। কেননা দেখতে অনেকটা কচু পাতার মত হলেও এটি আসলে খানমান হিসেবে পরিচিত। সারা বছর খুব সামান্য পাওয়া গেলেও বৈশাখ থেকে অগ্রহায়ন মাস পর্যন্ত অনাবাদি বা বসত বাড়ির আশপাশের পরিত্যাক্ত জমিতে এর দেখা মেলে প্রচুর। খানমান গাছের কান্ডসহ পাতা সিদ্ধ করে কালোজিরা, রসুন, সরিষা তৈল আর শুকনা মরিচ দিয়ে ভর্তা করে খেলেই বেশী সুস্বাদু লাগে। কেউ কেউ আবার এগুলোকে ঔষধি সবজি হিসেবেও খেয়ে থাকেন।খানমানের বৈজ্ঞানিক নাম Typhonium trilobatum এরা Araceae পরিবারের অর্ন্তভুক্ত। অঞ্চল ভেদে এই সবজির নাম ভিন্নভিন্ন । যেমন উত্তরাঞ্চলের লোকজন এটাকে বলে চামঘাস। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষ বলে ঘ্যাত্তর । কেউ কেউ আবার ঘেট কচু, ঘের কচু বলে, আদিবাসী চাকমা সম্প্রদায় এটাকে খারকন বা খারবাস বা খারাকেও বলে, গাড়ো সম্প্রদায় কালামান বলে।
হাওড় বা ডোবা অঞ্চল না হওয়ায় ঈশ্বরদী উপজেলা জুড়ে তাই খানমান শ্রমিকদের আনাগোনা লক্ষ্য করা যায় বছরের এই সময় গুলোতে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা খানমান শ্রমিকরা সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত গ্রামের প্রত্যন্তাঞ্চল ঘুরে সংগ্রহ করা খানমান গুলোকে পরিবহন যোগে নিয়ে হাজির হন ঈশ্বরদী রেলওয়ে ষ্টেশন এলাকায়। সেখানেই আগাছা মুক্ত খানমান পাতাসহ কান্ডের আকার ভেদে মুঠি করে বাধাহয় বাজার জাত করার জন্য। আটি বাধা সেই খানমান রাতে ট্রেন যোগে চাহিদা অনুযায়ী পাঠানো হয় দেশের উত্তর ও দক্ষিনাঞ্চলে।খানমান শ্রমিক মো. মতিন বলেন, দেশের উত্তর এবং দাক্ষিনাঞ্চলে এই খানমানের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। সেই চাহিদা মেটাতে আমরা ছয়মাস খানমান সংগ্রহ করার জন্য ঈশ্বরদীতে চলে আসি। গ্রামে গঞ্জে ঘুরে একবেলা এগুলো সংগ্রহ করে রাতের ট্রেনে সেগুলো পাঠিয়ে দেই। সেখানে আটি ভেদে ৪ থেকে ১০ টাকা হারে নগদে পাইকাররা কিনে নেন। মাঝে মাঝে পাইকাররা এখানে এসেও কিনে নিয়ে যায়।মো. আবুল মিয়া জানান, বর্ষার সময় আমাদের অঞ্চল পানিতে ডুবে যায়। আমাদের সব কাজ শেষ হয়ে যায় বলে আমরা প্রতিবছরই ঈশ্বরদীতে আসি খানমান তুলতে। বিভিন্ন অঞ্চলে এর ভালো চাহিদা থাকায় আমরা ভালো আয় করতে পারি খানমান বিক্রি করে।
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. নাজমুল ইসলাম বলেন, খানমানের কান্ড এবং পাতার মধ্যে নানা ঔষধি গুন রয়েছে। বিশেষ করে খানমান পাতা ও কান্ড কালোজিরার সাথে ভর্তা করে খেলে শরীরের ব্যথা, ও বাত ব্যাথা নিরাময় হয়। কলার সাথে খানমান খেলে স্টমাকের সমস্যা দূর হয়। শুধু মানুষই নয় গবাদি পশুর শরীরে ঘা হলে খানমানের শিকড় মিহি করে পিষে সেটাকে আক্রান্ত স্থানে ব্যবহার করলে ঘা দ্রুত ভালো হয়।

দৈনিক এরোমনি প্রতিদিন ডটকম তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন অনলাইন নিউজ পোর্টাল