ঢাকারবিবার , ১২ নভেম্বর ২০২৩
  1. ই পেপার
  2. ক্যাম্পাস
  3. খেলা
  4. চাকরি
  5. জাতীয়
  6. জীবনযাপন
  7. ধর্ম
  8. পাঠক কলাম
  9. পাবনা জেলা
  10. বাণিজ্য
  11. বাংলাদেশ
  12. বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ সংবাদ
  15. বিশ্ব

পাবনার ভাঙ্গুড়া পাটুলী পাড়া প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ 

বার্তা কক্ষ
নভেম্বর ১২, ২০২৩ ১১:৩১ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

মো: আখিরুল ইসলাম, ভাঙ্গুড়া, পাবনা :
মো: আখিরুল ইসলাম.পাবনার ভাঙ্গুড়া পাটুলী পাড়া  সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা মোছাঃ কানিজ ফাতেমার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। অর্থ আত্মসাৎ এর বিষয়ে অত্র বিদ্যলয়ের ম্যানেজিং কমিটির কাছে ছাত্র ছাত্রীর অভিভাবকেরা এ অভিযোগ করেন।
শনিবার (১১ নভেম্বর) সকাল ৯.টার দিকে অত্র বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটি ও ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবক সহ প্রধান শিক্ষিকাকে নিয়ে এ বিষয়ে একটি মিটিং করেন। মিটিংয়ে ছাত্র ছাত্রীর অভিভাবকেরা প্রধান শিক্ষিকার অর্থ আত্মসাৎ ও দুর্নীতির সকল বিষয় তুলে ধরেন এ সময় প্রধান শিক্ষিকা কানিজ ফাতেমা সকলের সামনে তার অপরাধ স্বীকার করে ক্ষমা প্রার্থনা করেন।
এ বিষয়ে বিদ্যলয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ওসমান গণি (রঞ্জু) মোল্লা প্রধান শিক্ষিকা মোছাঃ কানিজ ফাতেমাকে ৫ কর্ম দিবসের মধ্যে অর্থ আত্মসাৎ কৃত সকল অর্থ ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দেন। একপর্যায়ে ছাত্র-ছাত্রীদের অভিভাবক ও শিক্ষক সহ ম্যানেজিং কমিটির মধ্যে তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পরেন। বিদ্যালয়ে মোট ২৫৩ জন ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে।
জানা যায়, প্রধান শিক্ষক কানিজ ফাতেমা ২০১৮ সালের মার্চ মাসে উপজেলার পার-ভাঙ্গুড়া ইউনিয়নের পাটুলীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যোগদান করেন। যোগদানের পর থেকেই সরকারের নিদের্শ অমান্য করে তিনি প্রতেক ছাত্র ছাত্রীর কাছ থেকে পরিক্ষার ফি বাবদ ১ম শ্রেণীতে ৫০ টাকা,২য় শ্রেনী ৬০ টাকা, ৩য় শ্রেণী ৭০ টাকা, ৪র্থ শ্রেণী ৮০ টাকা, ৫ম শ্রেণী ১০০ টাকা করে আদায় করছে। নতুন ছাত্র ছাত্রী ভর্তি বাবদ ১৫০ টাকা। প্রত্যায়ন পত্র বাবদ ২০০ টাকা। উপবৃত্তি ফর্ম পূরণ বাবদ ২০০ টাকা। পুরাতন বই ফেরত নিয়ে বিক্রি করা। বিভিন্ন কোম্পানির সৌজন্য গাইড বই ছাত্র ছাত্রীর কাছে বিক্রি করা। ডি আর বাবদ ১৫০ টাকা। বিভিন্ন দিবসে খেলা দুলা বাবদ টাকা আদায়সহ নানা অযুহাতে ছাত্র-ছাত্রীর কাছ থেকে বছরের পর বছর টাকা আত্মসাৎ করে আসছেন। কোন ছাত্র-ছাত্রী তার নির্ধারিত চাঁদার টাকা না দিলে সেই ছাত্র-ছাত্রীকে মারধরসহ তাকে স্কুল থেকে বের করে দেন বলে অভিযোগ তুলছে অভিভাবকেরা।
চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রী নিলিমার বাবা ইউপি সদস্য ওসমান গণিসহ একাধিক ছাত্র ছাত্রীর বাবা এই দুর্নীতি বাজ প্রধান শিক্ষকের বিচার দাবি করেন।
এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষিকা মোছাঃ কানিজ ফাতেমা সকল অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, সরকারি নিয়ম না থাকলেও অফিসের নির্দেশে আমি টাকা নিয়েছি। এই টাকা প্রতিষ্ঠানের কাজে লাগিয়েছি আবার  কিছু সময় অফিস ম্যানেজ করতে হয়েছে।
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোঃ হাসান আলী বলেন, ছাত্র-ছাত্রীর কাছথেকে কোন টাকা নেওয়ার বিধান নেই। যদি কোন শিক্ষক নিয়ে থাকে তদন্ত সাপেক্ষে তাকে আইনের আওতায় আনা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ নাহিদ হাসান খান বলেন, সরকারি নিয়ম না মেনে টাকা নিলে  তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

দৈনিক এরোমনি প্রতিদিন ডটকম তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন অনলাইন নিউজ পোর্টাল