ঢাকামঙ্গলবার , ২১ নভেম্বর ২০২৩
  1. ই পেপার
  2. ক্যাম্পাস
  3. খেলা
  4. চাকরি
  5. জাতীয়
  6. জীবনযাপন
  7. ধর্ম
  8. পাঠক কলাম
  9. পাবনা জেলা
  10. বাণিজ্য
  11. বাংলাদেশ
  12. বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ সংবাদ
  15. বিশ্ব
আজকের সর্বশেষ সবখবর

প্রভাবশালী ও অনুপ্রেরণামূলক ১০০ নারীর তালিকায় বাংলাদেশের জান্নাতুল

বার্তা কক্ষ
নভেম্বর ২১, ২০২৩ ১২:৫৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী ও অনুপ্রেরণামূলক নারীর তালিকায় স্থান পেয়েছেন বাংলাদেশের চলচ্চিত্র নির্মাতা, লেখক এবং প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার রক্ষা আন্দোলনের একজন কর্মী জান্নাতুল ফেরদৌস। যিনি পোড়া ক্ষতের জীবনের সঙ্গে যুদ্ধ করে চলেছেন। ভয়াবহ অগ্নিদুর্ঘটনা থেকে বেঁচে যাওয়া জান্নাতুলকে বিশ্বের অন্যতম অনুপ্রেরণামূলক নারী হিসেবে বাঁছাই করেছে বিবিসি।২১ নভেম্বর, মঙ্গলবার চলতি বছরের বিশ্বের ১০০ প্রভাবশালী ও অনুপ্রেরণাদায়ক নারীর এ তালিকা প্রকাশ করা হয়।
এতে জান্নাতুল সম্পর্কে বলা হয়েছে, তিনি অগ্নিদুর্ঘটনার শিকার হন এবং তার শরীরের ৬০ শতাংশ পুড়ে যায়। তা সত্ত্বেও জান্নাতুল বেঁচে যান। এরপর তিনি একজন চলচ্চিত্র নির্মাতা, লেখিকা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। এছাড়া তিনি শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তিদের নিয়েও কাজ করা শুরু করেন।বিবিসি আরও জানিয়েছে, বন্ধুদের কাছে জান্নাতুল আইভি নামে পরিচিত। তিনি এখন পর্যন্ত পাঁচটি শর্ট ফ্লিম এবং তিনটি উপন্যাস প্রকাশ করেছেন। শারীরিক অক্ষমতা নিয়ে যারা জীবন-যাপন করেন তাদের ব্যাপারে সচেনতা বৃদ্ধিতে নিজের জীবনের গল্প ব্যবহার করে থাকেন তিনি।জান্নাতুল ফেরদৌস বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তৃত পড়াশুনা করেছেন। শিক্ষাজীবনে তিনি ইংরেজি সাহিত্যের ওপর মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করেছেন। এছাড়া ডেভেলপমেন্ট স্টাডিসের ওপরও তার ডিগ্রি রয়েছে।প্রায় ২৬ বছরের পোড়া ক্ষতের জীবন জান্নাতুলের। ১৯৯৭ সালের কথা। তখন তিনি সবে স্নাতক (সম্মান) শেষ করেছেন। একদিন রান্না করতে গিয়ে ওড়নায় আগুন লেগে যায়। চিকিৎসকদের ভাষায় পোড়ার পরিমাণ ছিল ৬০ শতাংশ। মুখ, শরীরের ওপরের অংশ পুড়ে কুঁচকে বিকৃত হয়ে যায়। তারপরও বেঁচে যান জান্নাতুল। গলা লেগে গিয়েছিল ঘাড়ের সঙ্গে। এ পর্যন্ত চামড়া প্রতিস্থাপনসহ অস্ত্রোপচার লেগেছে প্রায় ৫০টি।
জান্নাতুল প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের অধিকার রক্ষা আন্দোলনের একজন কর্মী। তিনি ভয়েস অ্যান্ড ভিউজের প্রতিষ্ঠাতা। যেটি অগ্নিদগ্ধ নারীদের অধিকারের জন্য লড়াই করে। তবে তিনি বন্ধু-বান্ধব এবং আত্মীয় স্বজনের কাছে চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে বেশি পরিচিত। তিনি পাঁচটি শর্ট ফিল্ম তৈরি করেছেন। তার প্রকাশিত তিনটি উপন্যাসও রয়েছে। তাছাড়া তিনি সমাজের প্রতিবন্ধীদের সচেতন করতে দারূণ স্টোরিটেলিং করে তাদেরকে উদ্বুদ্ধ করেন।পরিবার ও বন্ধুদের সহায়তায় অনিয়মিত (প্রাইভেট) শিক্ষার্থী হিসেবে ইডেন মহিলা কলেজ থেকে ইংরেজি সাহিত্যে মাস্টার্স করেন। এলএলবি পাস করেন। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগে মাস্টার্স করেন। চলচ্চিত্রবিষয়ক বিভিন্ন শর্ট কোর্স করেন। তবে জান্নাতুলের ভাষায় ভালো চলচ্চিত্র বুঝতে এবং ভালো দর্শক হওয়ার জন্যই ছিল তার এ পড়াশোনা।

দৈনিক এরোমনি প্রতিদিন ডটকম তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন অনলাইন নিউজ পোর্টাল