এরোমনি প্রতিবেদক :
শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ দেশের সব বিমানবন্দরের কর্মচারীদের নতুন আমলনামা তৈরি করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) ও বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস। ইতিমধ্যে গোপন একটি প্রতিবেদনও তৈরি করেছে বেবিচক। কর্মচারীদের অপরাধ রুখতে তাদের শরীরে ক্যামেরা বসানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে।
কিছুদিন আগে সিঙ্গাপুর থেকে দেশে ফেরেন এক প্রবাসি। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তিনি তার ব্যাগ কাটা দেখতে পান। লাগেজ থেকে স্বর্ণ চুরির অভিযোগ করেন ওই প্রবাসি। এ ঘটনায় সিভিল এভিয়েশন ও বিমানের পক্ষ থেকে তদন্ত হলেও স্বর্ণ চুরির বিষয়টি পরিস্কার হওয়া যায়নি।
শাহজালাল বিমানবন্দরে যাত্রীদের লাগেজ থেকে জিনিস হারানোর অভিযোগ নতুন নয়। এবার যাত্রীদের লাগেজ চুরি বন্ধ করতে বডি ক্যামেরার মাধ্যমে নজরদারির সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাষ্ট্রীয় পতাকাবাহী প্রতিষ্ঠান বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস।
বিমান কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রত্যেক কর্মীই শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ক্যামেরা অন করে দায়িত্ব পালন করবেন। কেন্দ্রীয়ভাবে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করবে বিমান। এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বডি ক্যামেরা দিয়ে লাগেজ চুরি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণ করা না গেলেও কিছুটা হলেও নজরদারি বাড়বে।
বিমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক শফিউল আজিম বলেন, যারাই যেখানে সিকিউরিটির দায়িত্বে থাকবেন, যাত্রীদের লাগেজ হ্যান্ডলিং করবেন আমরা কমপ্রিহেনসিভভাবে তাদের মনিটর করব। এরজন্য অত্যাধুনিক প্রযুক্তি আমরা ব্যবহার করছি। আমি যতটুকু জানি, আগামী ১৫–১৬ তারিখে এটা এসে যাবে। আমরা সেন্ট্রালি মনিটর করব।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধু বডি ক্যামেরার মাধ্যমে লাগেজ চুরি শতভাগ বন্ধ করা সম্ভব নয়। দায়িত্বে থাকা সব সংস্থার কর্মীদের সমন্বয় জরুরি বলে মত তাদের।
এভিয়েশন বিশেষজ্ঞ এটিএম নজরুল ইসলাম, শুধু যে যাত্রীর জিনিস যায় তা নয়, এর বাহিরেও কিন্তু অনেক জিনিস চলে যাচ্ছে, চুরি হয়ে যাচ্ছে। কারা নিচ্ছে? পুরো বিষয়টি বিমান একা পারবে না। বিমানের সঙ্গে এখানে সিভিল এভিয়েশনের সিকিউরিটি ফোর্স আছে, এখানে সিভিল এভিয়েশনের কর্মচারি আছে। অনেক লোক কিন্তু জড়িত। সব জায়গায় যদি আপনি এ ব্যবস্থাপনা করতে না পারেন তাহলে কিন্তু সাফল্য পাওয়া যাবে না।
কর্মীদের বডি ক্যামেরা দেয়ার পাশাপাশি লাগেজ হ্যান্ডলারদের পোশাকও নির্দিষ্ট করে দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
সম্পাদক ও প্রকাশক – মোঃ মাহবুবুল আলম