রওশন এরশাদ দলের কেউ না বলে মন্তব্য করে জাতীয় পার্টির (জাপা) মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, উনি আমাদের প্রধান পৃষ্ঠপোষক, দলীয় কোনো পদ হোল্ড করেন না। উনি দলের কেউ না। দলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক আলংকারিক পদ। নির্বাহী কোনো ক্ষমতা তার নেই।
১৩ ডিসেম্বর, বুধবার দুপুরে বনানীর জাপা চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের রাজনৈতিক কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে রওশন এরশাদের সাক্ষাতে জাপার সঙ্গে জোট না করার আহ্বানের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, উনাকে (রওশন এরশাদ), উনার ছেলেকে এবং আরেকজনকে আপনাদের মাধ্যমে বারবার বলেছি। উনার সঙ্গে আমার ব্যক্তিগতভাবে টেলিফোনে আলাপ হয়েছে। উনি নিজেই বলেছেন নির্বাচন করবেন এবং ফরম নেবেন। আমি বলেছি, আপনি নির্দেশ দিলে ফরম আমি আপনার বাসায় দিয়ে আসব। উনি বলেছেন লোক পাঠাবেন। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন রাত ১০টা পর্যন্ত আমরা অপেক্ষায় ছিলাম। তারপর তিনি সংবাদ সম্মেলনে বললেন যে, নির্বাচনে যাবেন না। এখন দোষ কার আপনারা চিন্তা করবেন।
দলের ভেতরে বিভক্তির বিষয়ে এক প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি আবারও বলছি, দলে কোনো বিভক্তি নেই।
রওশন এরশাদ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করলে এর কোনো অর্থ দাঁড়ায় কি না জানতে চাইলে তিনি বলেন, না, এগুলো আমার দল কিছু মিন করে না। তিনি বিরোধীদলের নেতা, সেই হিসেবে সংসদ নেত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন। এরসঙ্গে জাতীয় পার্টির কোনো সম্পর্ক নেই। ন্যূনতম সম্পর্ক নেই।
দলের চেয়ারম্যানের সঙ্গে তার দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এলো কি না, জানতে চাইলে চুন্নু বলেন, সাংগঠনিকভাবে আমি কোনো দ্বন্দ্ব দেখি না। বিরোধীদলের প্রধান পৃষ্ঠপোষক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতেই পারেন, এ বিষয়ে আমাদের কোনো আপত্তি নেই। আমি বা জিএম কাদের যেটা বলি সেটা হলো জাতীয় পার্টির কথা। আমি জানি না, এক দলের কাছে আরেক দলের নালিশ চলে কি না। এটা রাজনৈতিক কোনো সংস্কৃতিতে পড়ে কি না, আমার নতুন করে স্টাডি করতে হবে।
জাতীয় পার্টি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবে কিনা এমন প্রশ্নে দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, আমরা নির্বাচন করতে এসেছি। নির্বাচন থেকে চলে যাওয়ার জন্য, নাটক করার জন্য আসি নাই। নির্বাচন করব এবং নির্বাচন করে আগামীতে ক্ষমতায় যাব সেই স্বপ্নেও আমরা বিভোর। আওয়ামী লীগ বিরোধী দলে যাবে সে রকম চিন্তাই আমাদের মধ্যে আছে। কাজেই নির্বাচন থেকে চলে যাব কেন?
তিনি আরও বলেন, আমরা নির্বাচনে এসেছি নির্বাচন করার জন্য, না করার জন্য না। নির্বাচন করার শর্ত হিসেবে আমাদের একটাই দাবি, নির্বাচনের পরিবেশ এমন হতে হবে যেন ভোটারদের আস্থা আসে। আর কোনো দাবি আমাদের নেই।
সম্পাদক ও প্রকাশক – মোঃ মাহবুবুল আলম