রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে মুনিয়া আক্তার রোজা (২৫) নামে এক ভুয়া নারী চিকিৎসককে আটক করেছে আনসার সদস্যরা।
গতকাল (২৩ ডিসেম্বর) শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাসপাতালের নতুন ভবনে (আইসিইউ) এর সামনে ঘোরাফেরা করার সময় নতুন ভবনের দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্য এপিসি জামানের নজরে আসে, পরে রাত সাড়ে ৯ টার দিকে তাকে আটক করে জরুরি বিভাগে নিয়ে আসা হয়। মুনিয়া প্রথমে নিজেকে এমবিএস গাইনি চিকিৎসক হিসেবে দাবি করেন। তিনি ২০২০ সালে সুত্রাপুর এর ন্যাশনাল হাসপাতাল থেকে এমবিবিএস গাইনি বিভাগ নিয়ে পাশ করেন বলে তিনি জানান, এবং দুই মাস আগে ঢাকা মেডিকেল গাইনি ওয়ার্ডে যোগদান করেন। পরে রাত ১২টার দিকে প্রশাসনের চাপে পড়ে সত্য প্রকাশ করেন। তিনি ঢাকা মেডিকেল থেকে বেসরকারি হাসপাতালে রোগী ভাগিয়ে নিয়ে যান তিনি।
মুনিয়া আরও বলেন, আমি ভয়ে প্রথমে বলেছিলাম- আমি ঢাকা মেডিকেলের গাইনি বিভাগের চিকিৎসক। কিন্তু আমার ভুল আমি বুঝতে পেরেছি। সত্যিকার অর্থে আমি কোনো চিকিৎসকইনা আমি নীলক্ষেত থেকে ৫৫০ টাকা দিয়ে অ্যাপ্রন কিনি এবং ২০০ টাকা দিয়ে আইডি কার্ড তৈরি করি যার নং h -126, কার্ড আইডি কার্ডে পরিচালকের জাল সই, মিটফোর্ড এলাকা থেকে স্থেটোস্কোপ কিনি। আমি ঢাকা মেডিকেল থেকে বেসরকারি হাসপাতালে রোগী ভাগিয়ে নিয়ে যাই। এ ছাড়া অ্যাপ্রন পরে ডাক্তারদের অগোচরে রুমে ঢুকে তাদের মোবাইল ও অন্যান্য সামগ্রী হাতিয়ে নেই , পরে নিজের ভুল স্বীকার করে এবারের মত ক্ষমা করে দিতে বলেন তিনি, আমি আর জীবনে এ ধরনের কাজ করব না।
পরে হাসপাতালের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা আনসার সদস্য পিসি উজ্জ্বল বেপারী ও এপিসি জামান ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো: বাচ্চু মিয়ার কাছে ভুয়া চিকিৎসক মুনিয়াকে হস্তান্তর করা হয়।
ভুয়া চিকিৎসক মুনিয়া আক্তার রোজার বাড়ি চাঁদপুর সদর। বর্তমানে পুরোন ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোড মাক্কুশা মাজার সংলগ্ন পাপ্পুর বাসার ভাড়াটিয়া।আসামিকে শাহবাগ থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে জানিয়ে ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ মো. বাচ্চু মিয়া বলেন, অভিযুক্ত ভুয়া নারী চিকিৎসককে নারী আনসার সদস্যদের পাহারায় নিরাপত্তা হেফাজতে রাখা হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানা-পুলিশকে জানানো হয়েছে তারাই ব্যবস্থা নেবেন।
সম্পাদক ও প্রকাশক – মোঃ মাহবুবুল আলম