জাবি প্রতিনিধি :
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জাবি) তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সাবেক এক শিক্ষার্থীকে মারধর এবং তার থেকে চাঁদা আদায়েরর অভিযোগ উঠেছে বর্তমান এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে।
সোমবার (২৫) ডিসেম্বর বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের গেরুয়ার ঢাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
সাবেক ঐ শিক্ষার্থীর নাম দেবাশীষ। তিনি পরিসংখ্যান বিভাগের ৩১তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। এদিকে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীর নাম জিল্লুর রহমান নেহাল। তিনি আইন ও বিচার বিভাগের ৪৬ তম ব্যাচের শিক্ষার্থী। প্রবীরর মিত্র ৪৬ মির্জা সোহাগ বাংলা ৪৬
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, গেরুয়া গেইটে সাবেক ওই শিক্ষার্থী তার ব্যক্তিগত গাড়ি দিয়ে জিল্লুর রহমান নিহালের পায়ে সামান্য ধাক্কা লাগে। এ ঘটনায় নিহাল এবং তার দুই বন্ধু আইন ও বিচার বিভাগের ৪৬তম ব্যাচের প্রবীর মিত্র ও একই ব্যাচের বাংলা বিভাগের মির্জা সোহাগ মিলে গাড়ি ভাংচুর করেন এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে চাঁদা দাবি করেন। এতে সাবেক ঐ শিক্ষার্থী তাৎক্ষণিকভাবে বিকাশের মাধ্যমে ৩ হাজার টাকা চাঁদা দেন।
পরে আবারও দ্বিতীয় দফায় চাঁদা আদায় করতে নিহালের বন্ধু মির্জা সোহাগসহ কয়েকজন মিলে জোর করে দেবাশীষকে বাইকে তুলে নিয়ে রফিক জব্বার হলের সামনে আনেন। সেখানে দেবাশীষকে ভয় ভীতি প্রদর্শন করলে তিনি সবার পা ধরে মাফ চান। কিন্তু চাঁদা ছাড়া ক্ষমা করতে রাজি না হওয়ায় দ্বিতীয় দফায় আরও দশ হাজার টাকা দিতে বাধ্য হয় ভুক্তভোগী। চাঁদার টাকা নিয়ে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিযুক্ত জিল্লুর রহমান নিহাল বলেন, দেবাশীষ ভাইয়ের গাড়ি আমাকে দুই দফায় ধাক্কা দিয়েছে। দ্বিতীয়বার গাড়ির চাকা আমার পায়ের উপর দিয়ে যায়। তারপরও উনি যেহেতু আমাদের বড় ভাই এবং আমাদের কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন তাই আমরা তাকে যেতে দিয়েছি।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান বলেন, এই ঘটনা নিয়ে আমাকে কেউ অভিযোগ করেনি। ঐ সাবেক শিক্ষার্থীর উচিত ছিল প্রশাসনকে জানানো। যে শিক্ষার্থীটকে গাড়ি ধাক্কা দিয়েছে তারও উচিত ছিল আমাদের এই বিষয়টি জানানো। তবে এরকম টাকা পয়সা নিয়ে থাকলে ঘটনাটি দুঃখজনক, তার সাথে অন্যায় হয়েছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে যারা চাঁদা নিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
দৈনিক এরোমনি প্রতিদিন ডটকম তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন অনলাইন নিউজ পোর্টাল