ঢাকাশনিবার , ৩০ ডিসেম্বর ২০২৩
  1. ই পেপার
  2. ক্যাম্পাস
  3. খেলা
  4. চাকরি
  5. জাতীয়
  6. জীবনযাপন
  7. ধর্ম
  8. পাঠক কলাম
  9. পাবনা জেলা
  10. বাণিজ্য
  11. বাংলাদেশ
  12. বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ সংবাদ
  15. বিশ্ব

‘বিএনপি’র আন্দোলন মানেই মানুষ পুড়িয়ে মারা’

বার্তা কক্ষ
ডিসেম্বর ৩০, ২০২৩ ৮:১০ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন আমরা করতে জানি, করতে পারি। বিএনপির কোনো দেশপ্রেম বা দায়িত্ববোধ নেই। তাদের আন্দোলন মানেই মানুষ পুড়িয়ে মারা।’

৩০ ডিসেম্বর, শনিবার গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় আওয়ামী লীগের নির্বাচনি জনসভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।

বিএনপিকে খুনি এবং জামায়াতকে ‍যুদ্ধাপরাধী দল আখ্যায়িত করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, ‘আন্দোলনের নামে তারা অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে মানুষ হত্যা করে। আগুন দিয়ে পুড়িয়ে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করা, এটাই নাকি তাদের আন্দোলন। তাদের আন্দোলন মানুষ পোড়ানো। মানুষের ক্ষতি করা। দেশের সম্পদ নষ্ট করা। এদের মধ্যে কোনো মানবতাবোধ নেই। বিএনপি-জামায়াতকে ধিক্কার, তাদের রাজনীতি করার অধিকার নেই। সম্প্রতি ট্রেনে আগুন দিয়ে মা ও শিশুকে হত্যার নিন্দা জানান শেখ হাসিনা। বলেন, এই ঘটনা বিশ্বকে নাড়া দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াতকে এখন আর মানুষ বিশ্বাস করে। আর বিশ্বাস করে না বলেই তারা আন্দোলনে সফল হতে পারেনি এবং পারবেও না। তাদের কোনো জনসমর্থন নেই। এবারের নির্বাচন নিয়ে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত চলছে জানিয়ে সবাইকে এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। ৭ জানুয়ারি সকাল সকাল কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে এই চক্রান্তের সমুচিত দেওয়া হবে বলে মনে করেন তিনি। লন্ডন থেকে গুপ্তহত্যার নির্দেশ আসছেে এবং হুকুমদাতার বিচার করতে হবে উল্লেখ করে শেখ হাসিনা আরও বলেন, নির্বাচনের আগে তারা আরও ভয়ংকর হামলা চালাতে পারে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে এই সন্ত্রাসের হুকুমদাতা আখ্যায়িত করে আবার ক্ষমতায় আসতে পারলে লন্ডন থেকে ধরে এনে সাজা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সরকারপ্রধান।

তারেক রহমানকে ‘লম্পট’ আখ্যায়িত করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ওই লম্পটের কথা শুনে বিএনপি নেতারা কেন আগুন দেয়, মানুষ মারে। তাদের কী লাভ। শাস্তি তো এদের হবে। বিচারের মুখে পড়তে হবে। আর আল্লাহর কাছেও তাদের জবাব দিতে হবে। তবু এটা তারা কেন ঘটায়, সেটাই আমার প্রশ্ন।’টুঙ্গিপাড়াবাসীর উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এখানে অনেক ঘাত-প্রতিঘাতের মধ্যে চলতে হয়েছে, তারপরও আপনারা আমাকে আগলে রেখেছেন। সেজন্য আমি আপনাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। এই বাংলাদেশেকে নিয়ে যে স্বপ্ন ছিল আমার বাবার, আমি প্রাণপণ চেষ্টা করে গেছি, আমি নিজের দিকে তাকাইনি। আপনাদের এই ভালোবাসা, আপনাদের এই সমর্থন আমার একমাত্র শক্তি।’দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রচারে আয়োজিত এই জনসভায় নিজের ওপর বারবার হামলা প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, বারবার হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে আমাকে। মানবঢাল করে আওয়ামী লীগ আমাকে রক্ষা করেছে।

উল্লেখ্য, দুই দিনের সফরে গতকাল শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) সড়ক পথে বরিশাল যান শেখ হাসিনা। বিকেলে বরিশাল নগরীর বঙ্গবন্ধু উদ্যানে জনসভায় যোগদান শেষে সন্ধ্যায় নিজের পিতৃভূমিতে আসেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। নির্বাচনি এ সফরে শেখ হাসিনার সঙ্গে আছে তার ছোট বোন শেখ রেহানা।শুক্রবার (ডিসেম্বর ৩০) সন্ধ্যায় টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শেখ হাসিনা। টুঙ্গিপাড়ার জনসভা শেষে এবার তিনি মাদারীপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। টুঙ্গিপাড়া থেকে সড়ক পথে মাদারীপুর-৩ আসনের কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজ মাঠে পৌঁছাবেন তিনি। বিকেল ৩টায় জনসভায় বক্তব্য দেবেন।

এর আগে বেলা সোয়া ১১টার দিকে জনসভা মঞ্চে আসেন প্রধানমন্ত্রী। সঙ্গে তার ছোট বোন শেখ রেহানাও ছিলেন। টুঙ্গিপাড়া সরকারি শেখ মুজিবুর রহমান কলেজ মাঠে আয়োজন করা হয় এই জনসভার।

প্রধানমন্ত্রীর সফর কেন্দ্র করে উপজেলাজুড়ে উৎসবের আমেজ বিরাজ করে। শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানাতে সকাল থেকে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করেন জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ সর্বস্তরের মানুষ।টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া উপজেলা নিয়ে গোপালগঞ্জ-৩ আসন। এ আসন শেখ হাসিনার নির্বাচনী এলাকা। আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৭ জানুয়ারি ভোটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাই নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে তিনি সকালে টুঙ্গিপাড়া এবং দুপুরে কোটালীপাড়ায় জনসভায় বক্তব্য দেবেন।

দৈনিক এরোমনি প্রতিদিন ডটকম তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন অনলাইন নিউজ পোর্টাল