ঢাকারবিবার , ১৪ জানুয়ারি ২০২৪
  1. ই পেপার
  2. ক্যাম্পাস
  3. খেলা
  4. চাকরি
  5. জাতীয়
  6. জীবনযাপন
  7. ধর্ম
  8. পাঠক কলাম
  9. পাবনা জেলা
  10. বাণিজ্য
  11. বাংলাদেশ
  12. বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ সংবাদ
  15. বিশ্ব

সাঁথিয়া বেড়া বাসীর ভোটের মূল্যায়ন টুকু আবার ডেপুটি স্পিকার

বার্তা কক্ষ
জানুয়ারি ১৪, ২০২৪ ৬:৪০ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

হৃদয় হোসাইন, বেড়া পাবনা প্রতিনিধি: সাঁথিয়া-বেড়া পাবনা-১ সংসদীয় নির্বাচনী এলাকা। দুইটি উপজেলা সাঁথিয়া বেড়া ও দুইটি পৌরসভা সাঁথিয়া বেড়া।চৌদ্দটি ইউনিয়ন (সাঁথিয়া উপজেলারকাশিনাথপুর,ক্ষেতুপাড়া,গৌরিগ্রাম,আর আতাইকুলা,ভ‚লবাড়িয়া,ধুলাউড়ি,ধোপাদাহ, নাগডেমড়া,নন্দনপুর ও করমজা ইউনিয়ন)এবং বেড়া উপজেলার হাটুরিয়া-নাকালিয়া,চাকলা, কৈটলা ও নতুন ভারেঙ্গা ইউনিয়ন নিয়ে পাবনা-১আসন গঠিত।

এই আসনে ভোটার সংখ্যা প্রায় ৪.৩১৬১৬ জন।দেশের ইতিহাসে অনুষ্ঠিত ১২টি জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মধ্যে ১৯৮৮ সালের হ্যা/না ভোট ও ১৯৯৬ সালের ফেব্রæয়ারীতে অনুষ্ঠিত একতরফা নির্বাচন (যে নির্বাচনের ৩ মাস ২৭ দিন পর পুনরায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়) বাদ দিলে ৯ টি নির্বাচনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ৫ বার, জাতীয় পার্টি ১ বার,বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) ১ বার ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ২ বার বিজয়ী হয়।আসনটিতে ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে মো: মনসুর আলী প্রথম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের জহুরুল ইসলাম তালুকদার দ্বিতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৮৬ সালে জাতীয় পার্টি থেকে মেজর অব মনজুর কাদের তৃতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯১ সালে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী মতিউর রহমান নিজামী ৫,৭৮৪ ভোটের ব্যবধানে অধ্যাপক আবু সাইয়িদ কে পরাজিত করে পঞ্চম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৬ সালের জুন মাসে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রার্থী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ ১৪,৬৮৩ ভোটে বিএনপির প্রার্থী মনজুর কাদের কে পরাজিত করে সপ্তম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০০১ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী মতিউর রহমান নিজামি ৩৭,৮৬৯ ভোটের ব্যবধানে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আবু সাইয়িদ কে পরাজিত করে অষ্টম সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এরপর থেকে ২০০৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বীরমুক্তিযোদ্ধা শামসুল হক টুকু ২২,০৬৮ ভোটের ব্যবধানে চারদলীয় ঐক্যজোটের প্রার্থী মতিউর রহমান নিজামি কে পরাজিত করে নবম জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৪ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বীরমুক্তিযোদ্ধা শামসুল হক ২২,৪৫০ ভোটের ব্যবধানে সতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ কে পরাজিত করে দশম জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বীরমুক্তিযোদ্ধা শামসুল হক টুকু বিশাল ব্যবধানে গণফোরাম প্রার্থী আবু সাইয়িদ কে পরাজিত করে একাদশ জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পাবনা-১ আসনে ২১,৯২৭ ভোটের ব্যবধানে সতন্ত্র প্রার্থী অধ্যাপক আবু সাইয়িদ কে পরাজিত করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের মনোনীত টুকু বিজয়ী হয়।

২০০৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে আবু সাইয়িদকে বাদ দিয়ে পাবনা জেলা আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক শামসুল হক টুকুকে নৌকার প্রার্থী করা হয়। সেই নির্বাচনে টুকু জয়ী হয়ে স্বরাষ্ট প্রতি মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে।পরে দশম জাতীয় নির্বাচনেও আবু সাইয়িদকে বাদ দিয়ে এ আসনের নৌকার মাঝি করা হয় টুকুকে । সর্বশেষ ২০১৮ সালে গণফোরাম থেকে মনোনিত হয়ে তিনি ধানের শীষ প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করে পরাজিত হয়েছিলেন। শামসুল হক টুকু ২০১৮ সালের একাদশ নির্বাচনে এ আসনে নৌকা প্রতিকে নির্বাচিত সংসদ সদস্য হয়ে ডেপুটি স্পিকারের দায়িত্ব পালন করছেন।

শামসুল হক টুকু বার বার এ আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে তিনি বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রনালয়ের প্রতিমন্ত্রী,স্বরাষ্ট প্রতিমন্ত্রী,স্বরাষ্ট মন্ত্রনালয়ের সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতির দায়িত্বসহ সরকারের গুরুক্তপূর্ণ মন্ত্রনালয়ের দায়িত্ব পালন করে দেশ সেবায় বিশেষ ভূমিকাও রেখেছেন। ডেপুটি স্পিকার শামসুল হক টুকু এক জনসভায় জনসাধারণের উদ্দেশ্যে বলেছেন,২০০৮ সালেও আপনাদের ভোটের মুল্যায়ন করেছেন,২০১৪ ও ২০১৮ সালেও করেছেন। সর্বশেষ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এ আসন থেকে আপনারা নৌকাকে বিজয়ী করেছেন। প্রধানমন্ত্রী আপনাদের ভোটের মুল্যায়ন করেছেন। আমাকে আবার জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকারের দায়িত্ব দিয়েছেন।

দৈনিক এরোমনি প্রতিদিন ডটকম তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন অনলাইন নিউজ পোর্টাল