বেড়া,সাঁথিয়া(পাবনা)প্রতিবেদকঃ পাবনার বেড়া উপজেলার আশ্রয়ণ প্রকল্পে এক গৃহবধু ধর্ষণের ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। শনিবার(৩ ফেব্রুয়ারি) রাত ২ টার দিকে ওই আশ্রয়ণ প্রকল্প এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার আসামীর নাম শফিকুল ইসলাম। তিনি বেড়া উপজেলার আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা।
বেড়া মডেল থানার ভারপাপ্ত কর্মকতা রাশিদুল ইসলাম প্রতিবেদক কে এসব বিষয় নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান,ধর্ষণের শিকার ওই গৃহবধু বেড়া আশ্রয়ণ প্রকল্পের বাসিন্দা এবং গৃহিণী। গত বুধবার (৩১ জানুয়ারি) দুপুর ১২ টার দিকে ওই গৃহবধু আশ্রয়ণ প্রকল্পের ২ নাম্বার ঘরে সাংসারিক কাজ করছিলেন।এ সময় শফিকুল ইসলাম গৃহবধুর ঘরের দরজা খোলা পেয়ে সুকৌশলে ঘরে প্রবেশ করে ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়ে জোরপূর্বক তাকে ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ধর্ষিত গৃহবধু শনিবার রাতে বেড়া মডেল থানায় ধর্ষণ মামলা করেন। মামলার পরেই আসামি শফিকুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।রবিবার(৩ ফেব্রুয়ারি) আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। ধর্ষিত গৃহবধুর স্বামী আব্দুর রাজ্জাক প্রতিবেদক কে জানান,শফিকুল আমার স্ত্রীকে ধর্ষণ করলে আমি চাকলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী সরদার, কালাম মেম্বারসহ অনেককে বিষয়টি জানালে তারা মধ্যেযুগী কায়দায় নির্যাতন, নাকে খদ,জুতার বাড়ি দিয়ে সালিশ করে ১ হাজার টাকা জরিমানা করে দেয়। আমি এ রায় মেনে না নিলে তারা আমাকে ভয় দেখায় যে আমি এ রায় মেনে না নিলে আমকে দেখে নেবেন এবং আমি আমার বৌকে দিয়ে দেহ ব্যবসা করাই এমন লিখে দেবেন। কিন্তু আমি এ রায় মেনে না নিয়ে থানায় অভিযোগ করি। তিনি আরও বলেন, আমরা ভূমিহীন বলে কি আমাদের মান নেই? আমাদের ইজ্জতের দাম কি ১ হাজার টাকা? চেয়ারম্যান জোর করে রায় মেনে নিতে আমাদের বাধ্য করে। কিন্তু আমি এ রায় মানিনা আমি ধর্ষকের বিচার চাই। চাকলা ইউপি চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী সরদারের সাথে এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে তিনি বলেন,তাদের সমন্বয়েই এ বিচার করা হয়েছে। ধর্ষণের বিষয়ে তিনি বিচার করতে পারেন কিনা বা ১ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন এ গুলো মিথ্যা কথা। তবে বিচারের ভিডিও বলছে অন্য কথা। সাম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ফেসবুকে ওই বিচারের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েলে এলাকায় এনিয়ে চলছে নানা সমালোচনা। খোঁজ নিয়ে আরো জানা যায় দীর্ঘদিন চেয়ারম্যান ইদ্রিস আলী সরদার তার ইউপি সদস্যদের সহযোগিতায় টাকায় পাল্টে দেন সালিশী রায়। সালিশী বানিজ্য সহ এমন নানা অনিয়মের অভিযোগ তার বিরুদ্ধে। আস্থা হারাচ্ছে গ্রাম আদালতের সালিশ। তার বিরুদ্ধে ভয়ে সবাই নিরব।
দৈনিক এরোমনি প্রতিদিন ডটকম তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন অনলাইন নিউজ পোর্টাল