রাজশাহী প্রতিনিধি , নূরুন নবী : উল্লেখ্য যে, ভিকটিম বাগাতিপাড়া থানাধীন রহিমানপুর উচ্চ বিদ্যালয় ১০ম শ্রেনীর ছাত্রী। উক্ত বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করা অবস্থায় আসামী মোঃ অন্তর আহম্মেদ (১৯) ভিকটিমকে রাস্তা ঘাটে বিভিন্নভাবে প্রেম ভালোবাসার প্রলোভন দেখিয়ে আসছে। পরবর্তীতে ভিকটিমের পিতাকে উক্ত বিষয়ে জানতে পেরে মানা নিষেধ করলে আসামী মোঃ অন্তর আহম্মেদ (১৯) ও আসামীর পিতা মোঃ আতাহার আলী (৪১) কোন কর্নপাত করেনি। ইং ০৮/০২/২০২৪ তারিখ ভিকটিম সকাল অনুমান ০৭.০০ ঘটিকায় প্রাইভেট পড়ার জন্য বাগাতিপাড়া থানাধীন ২নং জামানগর ইউপিস্থ রহিমানপুর বাজারের মতিনের দোকানের সামনে পৌছামাত্র আসামী মোঃ অন্তর আহম্মেদ ও তার পিতাসহ অজ্ঞাত ৩/৪ জন মিলে ভিকটিমকে জোর পূর্বক অপহরণ করে সিএনজি যোগে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে যায়। অতপর ভিকটিম বাড়িতে ফিরে না আসলে ভিকটিমের পিতা সম্ভব্য সকল স্থানে খোঁজাখুঁজি করে কোথাও সন্ধান না পেয়ে আসামীদের বিরুদ্ধে নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া থানায় অপহরণ মামলা দায়ের করে।
পরবর্তীতে উক্ত মামলার তদন্তকারী অফিসার আসামী মোঃ অন্তর আহম্মেদ (১৯) সহ অন্যান্য এজাহারনামীয় আসামীদের গ্রেফতার এবং মামলার ভিকটিমকে উদ্ধারের জন্য র্যাব-৫ বরাবর অধিযাচনপত্র প্রদান করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় সিপিসি-২, নাটোর ক্যাম্প, র্যাব-৫, রাজশাহীর একটি চৌকষ আভিযানিক দল উক্ত মামলার আসামীদের সনাক্তকরনসহ অপহৃত ভিকটিম উদ্ধারের জন্য গোয়েন্দা নজরদারী বৃদ্ধি ও ছায়াতদন্ত শুরু করে। সিপিসি-২, নাটোর ক্যাম্প, র্যাব-৫, রাজশাহী গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে আসামীদের ও অপহৃত ভিকটিমের অবস্থান সনাক্ত করতে সক্ষম হয়। তৎপ্রেক্ষিতে সিপিসি-২, নাটোর ক্যাম্প, র্যাব-৫, রাজশাহীর একটি অপারেশন দল ইং ১২ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখ ১৩.১০ হতে ১৬.২৫ ঘটিকা পর্যন্ত অভিযান পরিচালনা করে নাটোর জেলার সদর থানাধীন হরিশপুর বাইপাস মোড় হতে; বাগাতিপাড়া থানার মামলা নং-০৪, তারিখ-১০/০২/২০২৪খ্রিঃ, ধারা-২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সং-০৩) এর ৭/৩০, জিআর-১৯/২৪ (বাগাতিঃ) এর অপহরণ চক্রের মুলহোতা মোঃ অন্তর আহম্মেদ (১৯) ও তার পিতাকে গ্রেফতার এবং আসামীদের হেফাজত হতে অপহৃত ভিকটিমকে উদ্ধার করা হয়।
উপরোক্ত ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আসামীদ্বয়কে নাটোর জেলার বাগাতিপাড়া থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
দৈনিক এরোমনি প্রতিদিন ডটকম তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন অনলাইন নিউজ পোর্টাল