নিজস্ব প্রতিবেদক
পবিত্র ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে ইতোমধ্যে ঢাকা ছেড়েছেন লাখ লাখ মানুষ। আজও বাড়ির পানে নগর ছাড়ছেন অনেকে। এর ফলে যে সড়কগুলোতে সবসময় গাড়িতে ঠাসা থাকত, ঈদের ছুটির কারণে সেগুলোতে নেই চিরাচরিত সেই চিত্র। অনেকটা জটহীন রাস্তায় স্বাচ্ছন্দ্যে চলাচল করছেন মানুষ। শহরে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে নির্বিঘ্নে ছুটে চলেছে গাড়ি। এ যেন অন্যরকম এক ঢাকা।
শনিবার (১৫ জুন) রাজধানীর ফার্মগেট, বিজয় সরণী, বাড্ডা, রামপুরা, বাংলামোটর, আসাদগেট, মালিবাগ, নতুনবাজার, গুলশান, বিমানবন্দরসহ বেশ কয়েকটি এলাকায় এমন চিত্র দেখা গেছে।
প্রতিটি সড়কেই গাড়ির চাপ নেই বললেই চলে। বিশেষ করে ঢাকার ভেতরের সড়কগুলোতে গাড়ির তেমন ভিড় নেই। এসব সড়কে মানুষ ও পরিবহনের সংখ্যা অনেক কম। মার্কেট এলাকাগুলোতে ভিড় তুলনামূলক কম। তবে বাস টার্মিনাল এলাকাগুলোতে ঘরমুখো মানুষের কারণে কিছুটা ভিড় আছে।
অন্যান্য সময় যাত্রাবাড়ী থেকে বিমানবন্দর যেতে সময় লাগতো আড়াই থেকে তিন ঘণ্টার মতো। কিন্তু শনিবার সেই রাস্তা যেতে সময় লেগেছে মাত্রা এক ঘণ্টার মতো।
এই রুটে চলাচলকারী রাইদা বাসের যাত্রী সুলতান আহমেদ জানান, শুক্রবার থেকেই এই সড়কে কোনো যানজট নেই। তিনি আরও বলেন, ‘আমি নিয়মিত চলাচল করি। স্বাভাবিক সময়ে যাত্রাবাড়ী থেকে বিমানবন্দর যেতে সময় লাগতো আড়াই থেকে তিন ঘণ্টা। কোনোদিন আরও বেশি সময় লাগে। কিন্তু আজ মাত্র এক ঘণ্টার মধ্যে এসেছি।
শুধু এই রুটেই নয়, রাজধানীর অন্যান্য রুটেও একই চিত্র লক্ষ্য করা গেছে। ব্যস্ততম এলাকা শাহবাগ, পল্টন, সচিবালয়, কাকরাইল, মৎস্যভবন ও হাইকোর্ট এলাকার রাস্তাগুলোও এখন ফাঁকা। মাঝে-মধ্যে কিছু ব্যক্তিগত ও গণপরিবহন দেখা গেলেও তেমন যানজট নেই। তবে নগরীর অনেক স্থানে রিকশার দৌরাত্ম্য দেখা গেছে। এছাড়া ফাঁকা রাস্তা পেয়ে অনেক ব্যক্তিগত গাড়ি, যাত্রীবাহী বাস ও মোটরসাইকেল বেপরোয়াভাবেও চলতে দেখা গেছে।
যানজটের শহরে কোনো সিগন্যালেই তেমন থামতে হচ্ছে না গাড়িগুলোকে। কখনো থামলেও সেই স্থায়িত্ব বেশিক্ষণের জন্য নয়। সর্বোচ্চ এক থেকে পাঁচ মিনিটের মতো থামতে হচ্ছে যানগুলোকে।
বাড্ডা এলাকায় নির্ধারিত স্টপেজ ছাড়াও কোথাও কেউ হাত তুললেই সেখানে দাঁড়িয়ে যানগুলোকে যাত্রী তুলতে দেখা গেছে। এ নিয়ে বাসের অনেক যাত্রীর সঙ্গে কন্ডাক্টর ও সহকারীকে তর্কাতর্কিতে জড়াতেও দেখা গেছে।
ফাঁকা মহানগরীতে যেন কোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সেজন্য সর্বোচ্চ সতর্কতায় রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। প্রস্তুত রয়েছে পুলিশের একাধিক টিম। সেই সঙ্গে কাজ করছে বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাও।
সম্পাদক ও প্রকাশক – মোঃ মাহবুবুল আলম