নবাবগঞ্জ (দিনাজপুর) সংবাদদাতা
দিনাজপুরের নবাবগঞ্জে সন্ধা থেকে সকাল পর্যন্ত হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশা জানান দিচ্ছে শীতের আগমনী বার্তা। তীব্র শীত আসার আগাম প্রস্তুতি হিসেবে লেপ-তোশক কিনতে দোকানে ভিড় করছেন ক্রেতারা। কেউ কেউ পুরাতন লেপ-তোশকগুলো সংস্কার করে নিচ্ছেন। ফলে ব্যস্ত সময় পার করছেন লেপ-তোশক তৈরির কারিগররা। কাজ করে যাচ্ছেন দিনরাত।
উপজেলা সদরে পুর্বিতা তুলাঘরে লেপ নিতে আসা ক্রেতা ফরিদুল ইসলাম রাজু জানান, এবার শীতের শুরুতেই রাতে ঠাণ্ডার দাপট দেখা দিয়েছে। তীব্র শীত শুরু হলে দোকানগুলোতে বেশি চাপ থাকে, তাই আগেভাগেই একটি পুরাতন লেপের তুলা বদলিয়ে নতুন কাপড় দিয়ে সেলাই করে নিচ্ছি। সাথে একটি নতুন লেপ কিনছি। তবে গতবারের চেয়ে তুলা ও কাপড়ের দাম অনেকটা বেশি হওয়ার লেপের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে।
পুুর্বিতা তুলাঘরের মালিক জয়ন্ত চন্দ্র সরকার বলেন, গতবারের চেয়ে এবারে তুলা ও কাপরের দাম কিছুটা বেশি হওয়ায় লেপ-তোশক তৈরির খরচ বেড়েছে। তারপরও ক্রেতার কমতি নাই। শীতের শুরু থেকেই কাজের চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি জানান, গড়ে প্রতিদিন ৮ থেকে ১০টি লেপ-তোশক তৈরি করছেন তিনি। প্রকারভেদে লেপ ১৩০০ টাকা থেকে ১৮০০ টাকা, তোশক ১২০০ থেকে ১৮০০ টাকা, জাজিম ৩ হাজার থেকে ৫ হাজার টাকা দরে বিক্রি করা হচ্ছে। তার দোকানে ২ জন কারিগর কাজ করছেন। কয়েক দিনের মধ্যে আরও ২ জন কারিগর কাজে যোগ দেবেন।
লেপ-তোশকের দোকান মালিকেরা জানান, বছরের প্রায় আট মাস তেমন বেশি কাজ হয় না। শীতের ৪ মাসের আয়-রোজগার দিয়ে বাকি আট মাস চলতে হয়। তাই দিন রাতে কাজ করতে হয় শীতের মৌসুমে।
দৈনিক এরোমনি প্রতিদিন ডটকম তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন অনলাইন নিউজ পোর্টাল