ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১৫ ডিসেম্বর ২০২২
  1. ই পেপার
  2. ক্যাম্পাস
  3. খেলা
  4. চাকরি
  5. জাতীয়
  6. জীবনযাপন
  7. ধর্ম
  8. পাঠক কলাম
  9. পাবনা জেলা
  10. বাণিজ্য
  11. বাংলাদেশ
  12. বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ সংবাদ
  15. বিশ্ব
আজকের সর্বশেষ সবখবর

বঙ্গবন্ধুর বিজয় দেখিনি “হাসুমনি’র স্বপ্ন জয়ের সারথী হয়েছি

বার্তা কক্ষ
ডিসেম্বর ১৫, ২০২২ ৪:৩২ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সোহাগ চোকদার
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু হাজার বছরের পরাধীন, শোষিত নিপীরিত নির্যাতিত বঞ্চিত অবহেলিত বাঙালী জাতিকে পরাধীনতার শেকল থেকে মুক্তি দিয়ে স্বাধীনতা এনে দিতে এবং একই সাথে জাতির রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক , সামাজিক ও অর্থনৈতিক মুক্তি অর্জনে আমৃত্যু সংগ্রাম করে গেছেন। “এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম” এই বাক্যদ্বয়ই হলো বাঙালীর স্বাধীনতার ঘোষণা ও সার্বিক মুক্তির প্রত্যয়। ১৯৭১ এর ২৫’মার্চ দিবাগত রাত ১২ঃ৩০ মিনিটে পাক বাহিনী বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার প্রাক্কালে ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু বাঙালী জাতির মহান স্বাধীনতার ঘোষণা করেন। বঙ্গবন্ধুকে গ্রেপ্তার করে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে? তা তখন কেউই জানতনা !
২৫ মার্চ কালরাতে গণহত্যা দিয়ে শুরু করে ১৬ ডিসেম্বরে চূরান্ত বিজয় অর্জন পর্যন্ত ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে পাক বাহিনী হত্যা করেছে বাঙালী মায়ের ৩০ লক্ষ সন্তান। নষ্ট করেছে দুই লক্ষাধিক বাঙালী মা বোনের সম্ভ্রম। ধ্বংস করে দিয়েছিলো পূর্ব বাংলার সমস্ত যোগাযোগ ব্যবস্থা, গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা। মুক্তিযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে বঙ্গবন্ধুকে রাষ্ট্রদ্রোহিতার মামলায় ফাঁসিয়ে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মারতে চেয়েছিলো পাক হায়েনারা। বঙ্গবন্ধু আচঁ করতে পেরে বলেছিলো যে ” ফাঁসির কাষ্ঠে দাঁড়িয়েও আমি বলবো আমি বাঙালী, বাংলা আমার ভাষা , বাংলা আমার দেশ”। পাকিস্তানী জান্তাদেরকে বঙ্গবন্ধু বলেছিলো “যদি তোমরা আমাকে মেরে ফেলো তাহলে আমার লাশটা আমার দেশের মানুষের কাছে পৌছেঁ দিও”। আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক চাপের তোপে পাক শাসকরা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করতে পারেনি। ৯ মাসের যুদ্ধ শেষে ১৬ ডিসেম্বর বিজয়ের মধ্য দিয়ে ভাঙালীর ভাগ্যাকাশে উদিত হলো স্বাধীনতার রক্তিম সূর্য। তার ২৫ দিন পর ১৯৭২ এর ১০ জানুয়ারী বঙ্গবন্ধু করাচী থেকে লন্ডন-কলকাতা হয়ে তার স্বপ্নের স্বদেশে প্রত্যাবর্তন করেন। যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশে ফিরে বঙ্গবন্ধু কান্নায় ভেঙে পড়েন নয় মাসের যুদ্ধের বর্ননা শুনে, তার প্রাণের ত্রিশ লক্ষ মানুষের শহীদ হওয়ার কথা জেনে। স্বাধীনতাতো অর্জিত হলো, লাল-সবুজ পতাকা উড়িয়ে বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন রাষ্ট্রের জানান দিলো বীর বাঙালী জাতি।
এবার আর্তসামাজিক উন্নয়নের পালা। যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশকে নিজের হৃদয় গহীণে গাঁথা স্বপ্নের বুননে গড়ে তোলবার পালা। বঙ্গবন্ধু তার শাসন সময়কালের তিন বছর পর্যবেক্ষণ করে, যতটা সম্ভব খোঁজ খবরাখবর নিয়ে ৭৫ এ স্বাধীন বাংলা বিভিন্ন দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ হুশিয়ারী দিয়ে দুর্ণীতির বিরুদ্ধে তার শক্ত ও অনড় অবস্থানের জানান দিতে গিয়ে বড্ড দুঃখ অতীব আক্ষেপ করে বলেন যে, “দেশ স্বাধীন করে সবাই পায় সোনার খনি, আর আমি পেয়েছি চোরের খনি!! “আমি ভিক্ষে করে আনি আর চাটার দলরা চেটেপুটে খায়!! একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশকে ধবংস স্তুপ থেকে টেনে উঠিয়ে আনা বিশাল সংগ্রামের বিষয়, সেই সংগ্রামে নেমে বঙ্গবন্ধু উপলব্ধি করেন যে , তার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে, তার পাশে প্রকৃত অর্থে তেমন কাউকেই হয়তো পাবেন না!! “ক্ষেত বাঁচাইতে বেড়া দিয়েছেন, এখন বেড়াতেই যদি ক্ষেত খেয়ে ফেলে” !? শর্ষেতে বিষ !!! মাতৃভূমি বাংলার স্বাধীনতা অর্জিত হওয়ার পর সারাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা ও ধ্বংস হয়ে যাওয়া অবকাঠামোগত উন্নয়ন কাজে বঙ্গবন্ধু যখন আত্মনিয়োগ করেছেন তখন দেখলেন উন্নয়ন কাজের বরাদ্ধের নয় ছয় দলীয় লোকজনই করছেন! দেশপ্রমিক ভেবে যাদেরকে দেশ গঠনের বিভিন্ন দায়িত্ব দিয়েছেন তাদের মধ্যে কতিপয়ের মধ্যে অর্থ মোহ কাজ করেছে, তারা চুরি লুটপাট করছে! অন্যদিকে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার নীল নকঁশা বুনে চলেছিলো খুনি ঘাতক চক্র। যাদেরকে বঙ্গবন্ধু সবচেয়ে আপন ভেবে আজন্ম বুঁকে তুলে রেখেছিলেন, বিশাল হৃদয়ের মানুষটি যাদেরকে নিজের প্রাণের চেয়ে বেশী ভালো বাসতেন। নিজ সন্তানতূল্য আদর স্নেহ করতেন। অবশেষে ৭৫ এর কালোরাতে তারাই বিভিষীকা হয়ে দেখা দিলো! ১৯৭৫ এর ১৫ আগষ্ট আত্মস্বীকৃত খুনীচক্র স্বপরিবারে হত্যা করলো বাঙালী জাতির অবিসংবাদিত মহান নেতা, বাঙালী জাতির চির আরোধ্য পুরুষ, বাঙালীর স্বাধীনতার মহান স্থপতি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবকে!! হত্যা করলো বঙ্গবন্ধুর প্রিরতমা সহধর্মীনি শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিবকে, বঙ্গবন্ধুর তিনপুত্র শেখ কামাল,শেখ জামাল ও ১০ বছরের শিশুপুত্র শেখ রাসেলকে!! বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে কলঙ্কের কালিমা লেপে দিলো জাতির ললাটে। সদ্য স্বাধীন দেশটাকে উন্নয়নের গতিপথ থেকে বহু দূরে সড়িয়ে দিলো। এই সুযোগে বেঈমানরা রাষ্ট্র পরিচালনার ছক আঁকলো! সুকৌশলে ষড়যন্ত্রের মধ্য দিয়ে আর্মি ডিকটেটর রাষ্ট্র ক্ষমতা কুক্ষিগত করলো। অগণতান্ত্রিক অঘোষিত স্বৈরশাসনের ঘেরটোপে দেশবাসী আবৃত হলো। বছর কয়েক যেতে না যে আর্মি ক্যু হলো, একই শ্রেণির শোষকের মাধ্যমে ফের অবৈধ ক্ষমতার পালাবদল হলো!! এভাবে প্রায় দুই দশকের শাসন রাজনৈতিক অস্থিরতার কারণে বাংলাদেশের অবকাঠামোগত কাংখিত উন্নয়ন আর হলো না। স্বৈর শাসনের পরে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হলো। কিন্তু নির্বাচনের মাধ্যমে যে সরকার ৯১ তে এলো তারা পূর্বপর্তী অবৈধ শাসকদ্বয়ের ছায়ামূর্তি হিসেবে আবির্ভূত হলো!! ১৪ ফেব্রয়ারীতে সাজানো নির্বাচনের মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত কতক খুনীদেরকে দিয়ে রাজনৈতিক দল (ফ্রিডম পার্টি) গঠন করিয়ে তাদেরকে সঙ্গে নিয়ে নির্বাচন করে সংসদে বসিয়ে মহান জাতীয় সংসদকে কলংকিত করলো!! পরবর্তী নির্বাচনে(১৯৯৬) সুদীর্ঘ ২১ বছর পর বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এলো। বঙ্গবন্ধুকন্যা জাতিকে কলংকমুক্ত করতে প্রথমেই জেনারেল জিয়ার অবৈধ শাসনামলের সময়ে জিয়া রচিত ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ বাতিল করে বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলাটির বিচার প্রক্রিয়া শুরু করলো। পাশাপাশি সারাদেশের অবকাঠামোগত সার্বিক উন্নয়নের পরিকল্পনা হাতে নিয়ে ধারাবাহিকভাবে রাষ্ট্রের প্রতিটি ক্ষেত্রের উন্নয়নের কাজ হাতে নিলো। একটি কথা না বললেই নয় যে, ৭১ এর স্বাধীনতা বিরোধী পরাজিত শক্তি সবসময়েই প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তযুদ্ধের ধারক বাহক বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগের পিছু সর্বদাই লেগে ছিলো, ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলো, এমনকি তারা এখনো সক্রিয়। তাদের লক্ষ্য মুক্তিযুদ্ধ নেতৃত্বদানকারী আওয়ামী লীগ যেনো ক্ষমতায় আসতে না পারে। এই অপশক্তির সাথে জোট করে , গোপন আঁতাত করে ২০০১ ক্ষমতায় এলো স্বাধীন বাংলাদেশে অবৈধভাবে ক্ষমতাদখলের জনক জিয়ার দল ও ৭১ এর পরাজিত রাজাকার বাহিনী!! জাতি লজ্জায় ডুবলো, এমপি হলো শীর্ষ কতক যুদ্ধাপোরাধী, তাদেরকে মন্ত্রী লাল সবুজের পতাকাবাহী সরকারী গাড়ীতে চড়ার অধিকার পাকাপোক্ত করে দিলো আন্ডার মেট্রিক প্রধানমন্ত্রীর সরকার! আর চোরে চোরে মাসতুতো ভাইয়ের মনচাহি শাসন চললো সারাদেশে। সরকারের ঘারে চেপে যুদ্ধাপোরাধীরা নতুন করে পুর্ণ শক্তি অর্জনে সারা দেশে তর্জন গর্জন শুরু করলো!
দেশে অবৈধ দশ ট্রাক অস্ত্র প্রবেশের কিছুদিনের মাথায় ২৩ বঙ্গবন্ধু এ্যাভিনিউতে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা ঘোষিত সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনাকে সহ কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের গোটা পরিবারকে একসঙ্গে হত্যার উদ্দেশ্যে স্বাধীন বাংলার ইতিহাসে সবচেয়ে জঘণ্যতম বর্বর গ্রেনেড হামলা সংগঠিত করে মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তির ২৪ জন নেতাকর্মীকে হত্যা করা হলো। সৌভাগ্যক্রমে সেদিন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা বেঁচে যান। স্বাধীন বাংলাদেশে ২০০৮ এর পূর্ব সময়ে এই ছিলো বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও উন্নয়নের চিত্রপট। এক কথায় উন্নয়নের ধারাবাহিকতা না থাকলেও ক্যু, ষড়যন্ত্র
দুর্নীতি, লুটপাট, রাজনৈতিক হত্যাকান্ড ও নৈরাজ্যের ধারাবাহিকতা ঠিকই বলবৎ ছিলো বৈকি!! মধ্যিখানে থমকে ছিলো বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায় বাস্তবায়ন কার্যক্রম!! চলেছে দেশবিরোধী যুদ্ধাপোরাধীদের পুনবাসনের কার্যক্রম!! তাদের সাথে আঁতাত ছাড়া আবার একটি দল আন্দোলনে ব্যর্থ হয় কি না।
অবশেষে ২০০৮ এ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকন্যা ও আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় এলো। বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার রায় কার্যকর করে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত কতক খুনীকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হলো। যুদ্ধাপোরাধী রাজাকারদের বিচার প্রক্রিয়া শুরু করে এ যাবৎ কতক শীর্ষ যুদ্ধাপোরাধীর মৃত্যুদন্ড কার্যকর করা হয়েছে, জাতীয় চারনেতার জেলহত্যা মামলার রায় হয়েছে। এই তিনটি বিষয় ছিলো জাতিকে কলংকমুক্তকরণে অতীব জরুরী। একই সঙ্গে রাষ্ট্রের অবকাঠামোগত অভূতপূর্ব উন্নয়নের কাজ করে চলেছেন শেখ হাসিনা সরকার।
বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ভূ-উপগ্রহে মহাকাশে “বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট” পৌঁছে গেছে। এখন আমরা নিজেদের স্যাটেলাইট ব্যবহার করে নেট ইন্টারনেট মিডিয়ার প্রচারণা করছি যা জাতির জন্যে গর্বের অর্জন। যে পদ্মাসেতু নিয়ে কতো শত ষড়যন্ত্র ! নিজস্ব অর্থায়নে “পদ্মাসেতু”
নির্মিত হয়েছে। মেট্রোরেল অচিরেই চালু হবে। রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে নির্মিত হয়েছে অগনিত ফ্লাইওভার সড়কপথ। সমুদ্রের তলদেশ দিয়ে নির্মাণের শেষ পর্যায়ে “বঙ্গবন্ধু টানেল” এক লেন দুই লেন সড়কপথগুলো চারলেন ছয়লেনে মহা সড়কে উন্নীত হয়েছে। মধুমতিতে সুদৃশ্য দীর্ঘ সেতু নির্মান হয়েছে। বিগত সরকারগুলোর সময়ে যেখানে সারাদিনে সর্বোচ্চ চার থেকে ছয় ঘন্টা বিদ্যুৎ দেশের এক তৃতীয়াংশ অঞ্চলে চলমান থাকতো, সেখানে এখন বিদ্যুৎ পৌঁছে গেছে সারাদেশের শতভাগ অঞ্চলে এবং বিদ্যুত চলমান থাকে প্রায় ২৪ ঘনটাই। স্থাপিত হচ্ছে পারমানবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র,
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে তৃতীয় টার্মিনাল নির্মিত হচ্ছে, কক্সবাজারে বৃহৎ আলাদা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর হচ্ছে। মাটির তলদেশ দিয়ে রেললাইন নির্মাণকল্পে চুক্তি হয়েছে। শহরাঞ্জলের বিদ্যুতের লাইন মাটির তলদেশ দিয়ে নির্মাণের পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে। দেশ এখন শতভাগ ডিজিটালাইজড। ২০৪১ সালের মধ্যে “স্মার্ট বাংলাদেশ” গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা। সার্বিকভাবে সারাদেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে এবং উন্নয়নের অপ্রতিরোধ্য অগ্রযাত্রা অব্যাহত আছে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে। জাতি আজ বঙ্গবন্ধুর কাংখিত অর্থনৈতিক মুক্তি পেয়েছে।সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মুক্তি পেয়েছে। যে মুক্তির কথা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু ঐতিহাসিক ৭’মার্চের ভাষণে বলেছিলেন। আর এসবই সম্ভব হয়েছে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর অত্যন্ত আদর সোহাগের “হাসুমনি’র দৃঢ় প্রত্যয় ও কঠোর পরিশ্রমের ফলে। মুক্তচিন্তার বিকাশ প্রকাশ, মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক শিক্ষা, সাহিত্য, সাংস্কৃতিক চর্চা ছিলো বন্ধ!! এখন গোটা দেশেই মুক্তিযুদ্ধ ভিত্তিক শিক্ষা, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক চর্চা চলছে নিরবিচ্ছিন্নভাবে। বিগত ১৪ বছরে ঝড়, টর্নেডো, বন্যা, জলোচ্ছাস বাংলায় আঘাত হেনেছে বহুবার তাতে কি বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সরকারের যথাপোযুক্ত পরিকল্পনা ও তা বাস্তবায়নের ফলে দেশের মানুষের জানমালের তেমন ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। ২০২০ সালে বিশ্বকে কাঁপিয়ে মহামারি করোনা আঘাত হানে গোটা বিশ্বের সাথে বাংলাদেশেও। কিন্তু শেখ হাসিনা সরকারের গৃহীত সমপোযোগী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনা ও চৌকস ফলপ্রসূ কার্যক্রমের ফলে সৃষ্টিকর্তার অশেষ কৃপায় মহামারি করোনায় বাংলাদেশে মানুষের প্রাণহানি কম হয়েছে। বিশ্বে এতো অভাবের মধ্যেও আমাদের দেশে একটি মানুষও অনাহারে মরেনি।
বঙ্গবন্ধু ক্ষুধা দারিদ্রমুক্ত স্বণির্ভর “সোনার বাংলা” গড়ার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন, তা বঙ্গবন্ধুকন্যা বঙ্গবন্ধুর আত্মজা, সোহাগের হাসুমনি’র চিন্তা মনন মেধা শ্রমের বুননে আজ গড়ে উঠেছে।
আমি আজ গর্বিত, ৭১ এর বিজয় আমি দেখিনি
বঙ্গবন্ধুর হাসুমনি’র স্বপ্ন জয়ের সারথী হয়েছি”””

দৈনিক এরোমনি প্রতিদিন ডটকম তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন অনলাইন নিউজ পোর্টাল