পলাশ হোসাইন :
পাবনায় হাসপাতাল দালালের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের দাবিতে জেলা প্রশাসক বরাবর স্মারকলিপি পেশ করেছেন বাংলাদেশ ডিপ্লোমা স্টুডেন্ট নার্সেস ইউনিয়ন কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদ পাবনা জেলা শাখা। ঘটনার বিবরণে জানা যায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ঠ পাবনা জেনারেল হাসপাতালে এক ইন্টার্ন নার্সকে মারধর করেছে হাসপাতালের চিহ্নিত দালাল চক্রের সদস্য। এ ঘটনায় নিরাপত্তাহীনতার পাশাপাশি চরম ক্ষুদ্ধ হাসপাতালে কর্মরত স্টাফরা।
প্রতিদিনের মত মেডিসিন ওয়াডের্র মহিলা ইউনিটে ডিউটিরত ছিলেন পাবনার ইছামতি নার্সিং কলেজের ডিপ্লোমা ইন সাইন্স এন্ড মিডওয়াইফারির দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী রাজা হোসেন। বেলা ১২টার দিকে ইসিজি করতে অতিরিক্ত টাকা নেয়ায় ফলে ছাড়পত্র পাওয়া এক রোগীর স্বজনদের সাথে কথাকাটাকাটি হয় দালাল চক্রের সদস্যের সাথে। এ সময় নার্স রাজা হোসেন দালাল কে উত্তেজিত না হয়ে রোগীর সঙ্গে বাহিরে গিয়ে কথা বলতে বলেন। আর এতেই বাঁধে বিপত্তি। ক্ষিপ্ত হয়ে নার্স রাজা হোসেনকে মারধোর শুরু করে এ দালাল। এ সময় আইডি কার্ড কেড়ে নেয়ার পাশাপাশি নার্স রাজাকে তুলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে সেই দালাল। হাসপাতালে কর্তব্যরত কর্মীরা তাকে বাঁধা দিলে তাদের উপরও হামলা চালায় বখাটে ও দালাল।এর কিছু সময় পর ঐ দালাল তার সহযোগীদের নিয়ে পুনরায় হাসপাতালে ঢুকে দেখে নেয়ার হুমকি দেয়। হাসপাতালের স্টাফদের অভিযোগ এমন ঘটনা এবারই প্রথম না। এর আগেও বহুবার সে হাসপাতালে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছে। এমনকি সে প্রতিনিয়ত মহিলা কর্মীদের সাথে আশালীন করে বলে দাবী হাসপাতাল কর্মীদের। হাসপাতালের অভ্যন্তরে এমন ঘটনায় নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত তারা।হাসপাতালে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা কর্মী না থাকা এমনটি হয়েছে। তাই নিরাপত্তার স্বার্থে হাসপাতালে নিরাপত্তা কর্মী বাড়ানোর দরকার বলে মনে করেন হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ড. ওমর ফারুক মীর । আর হামলার ঘটনায় তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাস দিয়েছে পাবনা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ কৃপা সিন্দু বালা । এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত দালাল চক্র সদস্যদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণসহ ৮ দফা দাবি আদায় এর জন্য সংগঠনের পক্ষ থেকে পাবনা জেলা প্রশাসক কার্যালয় গিয়ে বিক্ষোভ ও স্মারকলিপি পেশ করেন এবং পাবনা পুলিশ সুপারের নিকট নিরাপত্তাসহ দাবি একই স্যার এগুলো পিপিএস করেন।
দৈনিক এরোমনি প্রতিদিন ডটকম তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন অনলাইন নিউজ পোর্টাল