ঢাকামঙ্গলবার , ১৪ মার্চ ২০২৩
  1. ই পেপার
  2. ক্যাম্পাস
  3. খেলা
  4. চাকরি
  5. জাতীয়
  6. জীবনযাপন
  7. ধর্ম
  8. পাঠক কলাম
  9. পাবনা জেলা
  10. বাণিজ্য
  11. বাংলাদেশ
  12. বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ সংবাদ
  15. বিশ্ব

ঈশ্বরদীতে গমের বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা

বার্তা কক্ষ
মার্চ ১৪, ২০২৩ ২:০১ অপরাহ্ণ
Link Copied!

 

সিরাজুল ইসলাম রোহান, ঈশ্বরদীঃ 

পাবনার ঈশ্বরদীতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গমের বাম্পার ফলনের সম্ভবনা দেখছেন এ উপজেলার কৃষকেরা। উপজেলার ০৭ টি ইউনিয়ন ও ১ টি পৌরসভার মাঠে দেখা যায় গমের আবাদ। কৃষকেরা বলছে তুলনামূলক অন্য ফসল আবাদের চেয়ে গম আবাদে খরচ কম, সেচ, কীটনাশক সার, লেবার থেকে শুরু করে পোকামাকড়ের আক্রমন কম হওয়ায় খরচ কম হয় সেজন্য লাভজনক।এছাড়াও এবার গম চাষের অনুকূল আবহাওয়া থাকায় তেমন পোকামাকড় আক্রমণ করতে পারেনি সেজন্য বাড়তি কীটনাশক দেওয়ার প্রয়োজন হয়নি। অন্য বছরের তুলনায় এ বছরে গমের ফলন অনেক ভালো হবে বলছে স্থানীয় কৃষি অধিদপ্তর।মৌসুমের শুরুতে সরকারিভাবে বিনামূল্যে কৃষকদের গম চাষে আরো বেশি আগ্রহি করতে কৃষি বিভাগের তত্বাবধানে এক হাজার কার্ডধারী কৃষকদের উন্নত জাতের বারী গমবীজ ও সার বিতরন করা হয়। এছাড়া উপযুক্ত পরামর্শ প্রদানের মাধ্যমে কিভাবে আরো গমের ফলন বাড়ানো যায় সে বিষয়ের উপর গুরুত্ব দেয় স্থানীয় কৃষি অফিস।সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় মাঠের যে দিকেই চোখ যায় সোনালি আধাপাকা শীষ বাতাসে দোল খাচ্ছে। কোন কোন জমিতে গম এখনও কাঁচা আছে তবে আগামী ১০-১২ দিনের মধ্যে গম পেকে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেন চাষিরা। উপজেলার সাঁড়া ইউনিয়নের আরামবাড়িয়া ব্লকের গোপালপুর গ্রামের কৃষক অধ্যাপক আলমাস আলী সাপ্তাহিক সমকোণকে জানান, এবার তিন বিঘা জমিতে গমের আবাদ করেছেন। এবছর সার ও বীজের দাম বেশি হওয়ায় বিঘা পতি পাঁচ হাজার টাকা খরচ হয়েছে তিনি ভালো ফলনের আশায় বাড়ি ৩৩ জাত উৎপাদন করেছেন। অধ্যাপক আলমাস আলী আরো বলেন, তিনি বিঘা প্রতি ১৫ মন হারে ফলন পাওয়ার সম্ভাবনা করছেন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গমের বাম্পার ফলনের আশা করছি। এদিকে গমের বাজারমূল্য ভালো হওয়ায় অন্য কৃষকেরা গম চাষে আগ্রহী হচ্ছে।ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য বলছে এ বছরে গমের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ১৯৫০ হেক্টর জমিতে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় বিঘা প্রতি ১৩-১৫ মন গম হবে বলে আশা করছে কৃষি অধিদপ্তর। ঈশ্বরদী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মিতা সরকার সাপ্তাহিক সমকোণ কে জানান, এবছর ১৯৫০ হেক্টর জমিতে গম চাষের  লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও তা বেড়ে উৎপাদন হয়েছে ২০৫০ হেক্টর জমিতে। উপজেলায় মোট ৭১৯৬ মেট্রিক টন গম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এছাড়া কৃষি অফিস কৃষকদের বারি-৩৩ বারি-৩২ ও বারি-৩০ জাতের বীজ উৎপাদনের পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। এবং আরও বেশি গম উৎপাদনে কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করা হয়েছে। উপজেলার কমবেশি সব এলাকায় গমের আবাদ হয়েছে। উপজেলা কৃষি অফিস থেকে প্রণোদনা হিসেবে কৃষকদের বিনামূল্যে সার উন্নতজাতের বারি গমবীজ বিতরন করা হয়। এছাড়া সার্বক্ষণিক পরামর্শ ও তদারকি করছে উপজেলা কৃষি অফিস। তিনি আশা প্রকাশ করেন অন্য বছরের চেয়ে এ বছর গমের বাম্পার ফলন হবে ও কৃষকেরা লাভবান হবে।

দৈনিক এরোমনি প্রতিদিন ডটকম তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন অনলাইন নিউজ পোর্টাল