ঢাকামঙ্গলবার , ৪ এপ্রিল ২০২৩
  1. ই পেপার
  2. ক্যাম্পাস
  3. খেলা
  4. চাকরি
  5. জাতীয়
  6. জীবনযাপন
  7. ধর্ম
  8. পাঠক কলাম
  9. পাবনা জেলা
  10. বাণিজ্য
  11. বাংলাদেশ
  12. বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ সংবাদ
  15. বিশ্ব

ঈশ্বরদীতে নারীর মৃতদেহ উদ্ধার

বার্তা কক্ষ
এপ্রিল ৪, ২০২৩ ৫:১৬ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

 

ঈশ্বরদী প্রতিনিধি : পাবনার ঈশ্বরদীতে নিজ বাড়ি থেকে হাজেরা খাতুন (৭৬) নামের এক মহিলার রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত হাজেরা খাতুন ঈশ্বরদীর বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রয়াত অধ্যাপক মোহাম্মাদ হবিবুল্লাহের স্ত্রী।
গতকাল ( সোমবার) সন্ধ্যায় ঈশ্বরদীর পাকশীর ইপিজেড মোড়স্থ এলাকায় হত্যার এই ঘটনা ঘটে। নিহত হাজেরা খাতুন পাকশী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা হাবিবুল ইসলাম হব্বুলের বড় বোন। স্বামীর মৃত্যুর পর নিহত হাজেরা খাতুন একাই ইপিজেডমোড়স্থ নিজবাড়িতে থাকতেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোসামী ও নিহতের ছোট ভাই আওয়ামীলীগ নেতা হাবিবুল ইসলাম হব্বুল।
নিহতের ছোট ভাই আওয়ামীলীগ নেতা হাবিবুল ইসলাম হব্বুল জানান, তাঁর বড় বোন হাজেরা খাতুনের ৩ ছেলে ও ৪ মেয়ে। ২ মেয়ে বিদেশ ও অন্যরা ঢাকায় বসবাস করেন। তাঁর ভগ্নিপতি অবসরপ্রাপ্ত অধ্যাপক মোহাম্মাদ হবিবুল্লাহ মৃত্যুর পর থেকে বোন হাজেরা খাতুন একাই বাড়িতে থাকতেন। মাঝেমধ্যে ঢাকায় ছেলে মেয়েদের নিকট থাকতেন ।
ভাই হব্বুল আরও জানান, ঘটনার দিন সকালে নিহত হাজেরা খাতুনকে প্রতিবেশিরা নিজ বাড়ির সামনে ঘুরতে দেখেন। সন্ধ্যায় ভাগিনারা তাঁর মাকে (আমার বোন হাজেরা খাতুন) মোবাইলে ফোন দিলে আর রিসিভ হয়নি। তখন মাকে ফোনে না পেয়ে তারা আমাকে বিষয়টি মোবাইলে জানায়। তখন আমি বোনের বাড়িতে এসে বাহির থেকে তালা মারা দেখতে পায়। বিষয়টি ভাগিনাদের জানিয়ে তাদের পরামর্শে প্রতিবেশিদের সঙ্গে নিয়ে ঘরের দরজা ভেঙ্গে ভিতরে প্রবেশ করা হয়। তখন বোনের মৃতদেহ কাপড়ে ঢাকা লাশ দেখে থানায় খবর দেওয়া হয়।

ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার বিপ্লব কুমার গোসামী ঘটনাস্থল থেকে জানান, হাজেরা খাতুন নিজ বাড়িতে একাই থাকতেন। এই সুযোগে দুবৃর্ত্তরা ঘরের মালামাল লুট করতে আসে। এতে বাধা দিলে তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। আলামত দেখে মনে হচ্ছে ইফতারের আগে তঁার ঘরে প্রবেশ করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। নিহতের ঘরের আলমারির দরজা ভাঙ্গা রয়েছে। ঘরের কাপড় এলোমেলো করে রাখা হয়েছে। হত্যার পর লাশের হাতের কিছু অংশ বাইরে রেখে পুরো শরীর অনেকগুলো কাপড় দিয়ে ঢেকে রেখেছে দুবৃর্ত্তরা। ক্রাইমসিনকে খবর দেওয়া হয়েছে। তারা ঘটনাস্থলে আসলেই সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করা হবে। কিভাবে খুন করা হয়েছে তখন তা জানা যাবে।

দৈনিক এরোমনি প্রতিদিন ডটকম তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন অনলাইন নিউজ পোর্টাল