ঢাকারবিবার , ১৬ এপ্রিল ২০২৩
  1. ই পেপার
  2. ক্যাম্পাস
  3. খেলা
  4. চাকরি
  5. জাতীয়
  6. জীবনযাপন
  7. ধর্ম
  8. পাঠক কলাম
  9. পাবনা জেলা
  10. বাণিজ্য
  11. বাংলাদেশ
  12. বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ সংবাদ
  15. বিশ্ব

প্রেমের ফাঁদে ফেলে নগ্ন ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইল করতেন তারা

বার্তা কক্ষ
এপ্রিল ১৬, ২০২৩ ৫:৪৯ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট :

প্রেমের ফাঁদে ফেলে নগ্ন ছবি তুলে ব্ল্যাকমেইল করতেন তারা
স্বামী-স্ত্রীর পরিকল্পনায় প্রেমের ফাঁদে ফেলে কৌশলে বাসায় ডেকে নিয়ে তোলা হয় নগ্ন ছবি। সেই ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে মোবাইল ও বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেন তারা। এমনই অভিযোগে পাবনা শহর থেকে এক দম্পতিকে গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

শনিবার (১৫ এপ্রিল) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান পাবনার পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- পাবনা পৌর এলাকার রাধানগরের ময়দানপাড়ার মো. মোশারফ শেখের ছেলে ও মুক্ত টেইলার্সের মালিক মো. মুন্না হোসেন এবং মুন্নার স্ত্রী মোছা. মুক্তা খাতুন।

পুলিশ সুপার জানান, যশোর থেকে এসে পাবনায় পাটের ব্যবসা করতেন ইসমাইল হোসেন। মাঝে অভিযুক্তদের সঙ্গে পরিচয় হয় তার। পরবর্তীতে মোছা. মুক্তা খাতুন সুপরিকল্পিতভাবে তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক তৈরি করেন। সেই সুযোগে ইসমাইল হোসেনের কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা ধার নেন। পরবর্তীতে ধারের টাকা ফেরত দেওয়ার কথা বলে তাকে রাধানগর ময়দানপাড়ায় নিজস্ব বাসায় নিয়ে যান। বাসায় নিয়ে গিয়ে ডাইনিং রুমে আটক করে মুন্না হোসেন, মুক্তা খাতুনসহ তাদের ২-৩ জন সহযোগী জোরপূর্বক ইসমাইলকে নগ্ন করে ছবি তোলেন। এছাড়াও তাকে কিলঘুষি, চড়-থাপ্পড়, কাঠের বাটাম দিয়ে মারধর করেন।

তিনি আরও জানান, একপর্যায়ে আসামিরা ইসমাইলকে প্রাণে মেরে ফেলার এবং নগ্ন ছবি ভাইরাল করার ভয়ভীতি দেখিয়ে ৫০ হাজার টাকা এবং বিকাশের মাধ্যমে আরও ৭৩ হাজার টাকা টাকা আদায় করেন। ভুক্তভোগীর ব্যবহৃত VIVO X60Pro+ মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন। পরবর্তীতে ২০ হাজার টাকা না দিলে নগ্ন ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল করে দেওয়ার হুমকি দেন।

এর প্রেক্ষিতে ভুক্তভোগী গোয়েন্দা পুলিশের অফিসে অভিযোগ করলে অভিযান চালিয়ে শহরের জেটএল প্লাজায় অবস্থিত মুক্ত টেইলার্স থেকে অভিযুক্ত স্বামী-স্ত্রীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে নগদ টাকা ও দুটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয় বলে জানান পুলিশ সুপার আকবর আলী মুনসী।

সংবাদ সম্মেলনে পাবনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ-প্রশাসন) মো. মাসুদ আলম, গোয়েন্দা পুলিশের ওসি এমরান মাহমুদ তুহিনসহ পুলিশ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

দৈনিক এরোমনি প্রতিদিন ডটকম তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন অনলাইন নিউজ পোর্টাল