পাবনার ঈশ্বরদীর কালিকাপুর দাখিলিয়া মাদ্রাসার দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থী ঋতুপর্ণার প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহার দেওয়ার পর সেটা নিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে মাদাসার প্রধান শিক্ষক সাদেকুল আমিনের বিরুদ্ধে৷ এ ঘটনায় চলছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়।
ভুক্তভোগী ঋতুপর্ণার দাবী, সে দশম শ্রেনীর শিক্ষার্থী। দশম শ্রেণিতে লেখাপড়া করেন। পরীক্ষায় ভাল ফলাফল অর্জন করায় সে স্কুলে চতুর্থ হয়। তিনি বলেন মেধাবী শিক্ষার্থীদের প্রধানমন্ত্রীর উপহার একটি করে ট্যাব দেওয়া হয়েছে। সেই ট্যাব আমিও পেয়েছিলাম তবে আমাদের মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক সাদেকুল আমিন আমার থেকে ট্যাবটি ফেরত নিয়ে নেয়।
শিক্ষার্থী ঋতুপর্ণা বলেন আমাকে ট্যাব দিলোই বা কেনো আবার ফিরে নিয়ে নিলো কেনো বুঝলাম না।
এ বিষয়ে স্কুল শিক্ষার্থী ঋতুপর্ণার মা রাশিদা খাতুন বলেন, আমার মেয়ের প্রধাণমন্ত্রীর দেওয়া উপহার একটি ট্যাব৷ সেটা উপজেলা থেকে আমার মেয়েকে দিয়েছে। তাহলে স্কুলের প্রধান শিক্ষক সেটা আবার ফিরে নিলো কেনো৷ নিয়ে আরেকজনকে দিলো কেনো।
আমার মেয়ের মোবাইল ফেরত নিয়ে নেওয়ার কারণে আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলো আমরা সবাই জানতে পেরে আত্মহত্যায় বাধা দেই।
মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ঋতুপর্ণার মা রাশিদা খাতুন আরো বলেন, আমার মেয়ের রোল নাম্বার ৪। যেই মেয়ের রোল নাম্বার ১ ছিলো তার বিয়ে হয়ে যায়। এ কারণে যার রোল নাম্বার ৫ তাকে এগিয়ে নিয়ে এসে রোল নাম্বার ৩ বানিয়েছে।
উক্ত অভিযোগ স্বীকার করে অভিযুক্ত কালিকাপুর ইসলামিয়া দাখিল মাদ্রাসার সুপার সাদেকুল আমিন বলেন। আমি ঋতুপর্ণার মোবাইল নিয়ে আরেকজন ছেলেকে দিয়েছি৷
ঈশ্বরদীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সূবীর কুমার দাসর সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি দ্রুত ব্যাবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে বলেন। এমন অন্যায় করার সুযোগ নেই।
দৈনিক এরোমনি প্রতিদিন ডটকম তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন অনলাইন নিউজ পোর্টাল