ঢাকারবিবার , ২৬ নভেম্বর ২০২৩
  1. ই পেপার
  2. ক্যাম্পাস
  3. খেলা
  4. চাকরি
  5. জাতীয়
  6. জীবনযাপন
  7. ধর্ম
  8. পাঠক কলাম
  9. পাবনা জেলা
  10. বাণিজ্য
  11. বাংলাদেশ
  12. বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ সংবাদ
  15. বিশ্ব

সিলেটের পরিত্যক্ত কূপে গ্যাসের সন্ধান

বার্তা কক্ষ
নভেম্বর ২৬, ২০২৩ ১২:৫৯ অপরাহ্ণ
Link Copied!

সিলেট প্রতিনিধি :
সিলেটের গোয়াইনঘাটে অনুসন্ধান চালিয়ে দেশের সবচেয়ে পুরানো গ্যাসক্ষেত্র হরিপুরের ১০ নম্বর কূপে গ্যাসের সন্ধান পেয়েছে সিলেট গ্যাসফিল্ড লিমিটেড। ২০৩ কোটি টাকা ব্যায়ে একটি অনুসন্ধান কূপ খনন করে ৪৩.৭ বিলিয়ন ঘনফুট নতুন গ্যাসের সন্ধান পাওয়া গেছে এতে এই কূপটি থেকে দৈনিক ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে জানিয়েছেন সিলেট গ্যাসফিল্ড কর্তৃপক্ষ। ২৬ নভেম্বর, রবিবার খননকাজ শেষে গ্যাস প্রাপ্তির তথ্য নিশ্চিত করেছে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেড। এর আগে গত জুনে এই কূপ খননকাজ শুরু হয়। ১৪৯ কোটি টাকায় সিলেট-১০ নম্বর কূপ খনন করে চীনা কোম্পানি সিনোপেক। কূপটিতে প্রায় ৫০ বিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস মজুদ রয়েছে বলে জানিয়েছে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস কর্তৃপক্ষ।

সিলেট গ্যাস ফিল্ডসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, হরিপুর গ্যাসফিল্ড থেকে ৮ কিলোমিটর দূরে গোয়াইনঘাটের এই খাগড়ার হাওরে ২০১২ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত গ্যাস অনুসন্ধানে ত্রিমাত্রিক ভূতাত্ত্বিক জরিপ চালায় সিলেট গ্যাসফিল্ড লিমিটেড কোম্পানী। সম্পূর্ণ নতুন এই কূপটিতে গ্যাসের সন্ধান মিলেছে। এখান থেকে দৈনিক ১৩ মিলিয়ন গ্যাস পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন তারা।

সংশ্লিষ্টরা জানান, এই কূপে মজুদ গ্যাসের মূল্য ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা। এলএনজি আমদানি মূল্য হিসেবে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকা।

এর আগে, গত ২২ নভেম্বর সিলেট কৈলাসটিলায় পরিত্যক্ত ২ নম্বর কূপ থেকে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ শুরু হয়। যেখান থেকে দৈনিক ৭০ লাখ ঘনফুট গ্যাস যুক্ত হচ্ছে জাতীয় গ্রিডে।

এই কূপ খনন প্রকল্পের পরিচালক আব্দুল কাদের ভূঁইয়া বলেন, হরিপুর গ্যাস ফিল্ডে মোট ৯টি গ্যাস কূপ রয়েছে। এবার ১০ নম্বর কূপ থেকে উত্তোলন শুরু হবে।

তিনি জানান, সিলেটের হরিপুরে প্রথম গ্যাসের সন্ধান পাওয়া যায় ১৯৫৫ সালে। এর পর সন্ধান মিলতে থাকে একের পর এক গ্যাসক্ষেত্রের। বর্তমানে এসজিএফএল-এর আওতায় পাঁচটি গ্যাসক্ষেত্র রয়েছে।

সেগুলো হলো হরিপুর গ্যাসফিল্ড, রশিদপুর গ্যাসফিল্ড, ছাতক গ্যাসফিল্ড, কৈলাশটিলা গ্যাসফিল্ড ও বিয়ানীবাজার গ্যাসফিল্ড। এর মধ্যে ছাতক গ্যাসফিল্ড পরিত্যক্ত অবস্থায় আছে। বাকিগুলোর মধ্যে ১৪টি কূপ থেকে বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ১০৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উত্তোলন করা হচ্ছে।

জ্বালানি সংকট নিরসনে গ্যাস উৎপাদন বাড়াতে দেশের ৪৬টি কূপ অনুসন্ধান, খনন ও পুনঃখননের পরিকল্পনা নিয়েছে সরকার। ২০২৫ সালের মধ্যে এসব খনন কাজ শেষ হওয়ার কথা। এতে ৬১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস উৎপাদন বাড়বে বলে আশা করা হচ্ছে।

হরিপুরে গ্যাস পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করে সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের মহাব্যবস্থাপক (অপারেশন) প্রকৌশলী আবদুল জলিল প্রামানিক বলেন, ‘এই কূপ থেকে উৎপাদনে যেতে আরও ছয় মাসের মতো সময় লাগবে। পাইপ লাইন বসিয়ে জাতীয় গ্রিডে গ্যাস সরবরাহ করতে হবে।’

এর আগে গত বছর সিলেট গ্যাস ফিল্ডস লিমিটেডের আওতাধীন সিলেট-৮, কৈলাশটিলা-৭ ও বিয়ানীবাজার-১ নামে তিনটি পরিত্যক্ত কূপ পুনঃখনন করা হয়। এসব কূপ থেকে দৈনিক ১৬ থেকে ১৮ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় সঞ্চালন লাইনে সরবরাহ করা হচ্ছে।

দৈনিক এরোমনি প্রতিদিন ডটকম তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন অনলাইন নিউজ পোর্টাল