পঞ্চগড় প্রতিনিধি :
পঞ্চগড়ে বাবার হত্যা মামলার আসামিদের জামিন দেয়ায় ক্ষোভে বিচারককে জুতা মেরেছেন মামলার বাদী মিনারা আক্তার (২৫) নামে এক নারী ।
১১ ডিসেম্বর, সোমবার সকাল ১১.৩০ মিনিটের দিকে চিপ জুডশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোর্টের আমলী আদালত-১ এর বিচারক সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট অলরাম কার্জীর এজলাসে এই ঘটনাটি ঘটে।
এই ঘটনায় মামলার বাদী মিনারা আক্তারকে আটক করা হয়েছে ।
বর্তমানে ওই নারী পুলিশ হেফাজতে রয়েছেন। বাদী ও বিবাদির আইনজীবী দুজনই জুতা নিক্ষেপের বিষয়টি শিকার করেন। গত ৫ ডিসেম্বর পঞ্চগড়ের সদর উপজেলায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে মারামারি-কিলঘুষিতে ছোট ভাই আব্দুল মমিন (৬৫) এর হাতে বড় ভাই ইয়াকুব আলী’র (৮৩) মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় ওই দিন রাতই পঞ্চগড় সদর থানায় ইয়াকুব আলীর মেয়ে মিনারা আক্তার বাদি হয়ে ১৯ জনের নামে একটি হত্যা মামলা করেন।
আজ সোমবার ওই আদালতে ৩০২ ধারার মামলায় ১,২,৩ নম্বর আসামি বাদে ৪ থেকে ১৯ নম্বর আসামি আত্মসমর্পণ করলে তাদেরকে জামিন দেন আদালতের বিচারক অলরাম কার্জী।
ঘটনার পরপরই বাদী ও আসামি পক্ষের আইনজীবীরা আদালত থেকে বেরিয়ে আসেন। মিনারাকে আটকের খবরে আদালত চত্বরে ক্ষোভে কাঁন্নায় ভেঙ্গে পড়েন মিনার পরিবারের লোকজন ।
উক্ত মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী আহসান হাবিব অভিযোগ করে বলেন, আমাদের অলরাম কার্জী স্যার ৩০৭ ধারার মামলায় জামিন দিতে গড়িমসি করেন। ৩২৩ ধারার মামলার আসামি ক্ষেত্র বিশেষে হাজতে নেয়ার চেস্টা করেন। ৩০২ ধারার মামলায় কোন প্রকার হেয়ারিং না শুনেই কীভাবে উনি আসামিদের পরবর্তী ধার্য তারিখ পর্যন্ত জামিন দিলেন। আমি কখনো দেখিনি একটি হত্যা মামলায় আসামি সাত দিনের জামিন পায়।
আসামি পক্ষের আইনজীবী রাকিবুত তারেক বলেন, আদালত আসামিদের একটি অন্তর্বর্তী জামিন দিয়েছেন। যেহেতু এর কোন সুরতহাল রির্পোট নাই।
ম্যাকসিমাম আাসামি মহিলা। কয়েকজন জামাই রয়েছেন তাদের বিভিন্ন জায়গায়। এ কারণেই মূলত জামিন দেয়া হয়েছে। জামিন দেয়ার কারণেই মামলার এজাহারকারীনি উত্তেজিত হয়েছেন । একসাইডেট হয়েছেন। আদালতের প্রতি ধৃষ্টতামূলক আচরণ প্রদর্শন করেছেন। তবে বাদিনী তার পরনের জুতা আদালতে নিক্ষেপেরে বিষয়টি শিকার করেন তিনি।
পঞ্চগড় আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক আব্দুল বারি জানান, সকালে চিপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট কোটে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটেছে। আমি দেখিনি তবে শুনেছি। বর্তমানে আমাদের কোর্ট ভ্যাকেশন চলছে। আমাদের জেলা জজ স্যার ছুটিতে রয়েছেন। চিপ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটও ছুটিতে রয়েছেন। আমাদের সভাপতিও কোর্টে আসেননি। আমাদের বারে যদি কেউ অভিযোগ করে সে ব্যাপারে আমরা পদক্ষেপ নেবো বলে জানান তিনি।
কোট ইন্সপেক্টর জামাল হোসেন ঘটনার সত্যতা শিকার করে বলেন, ওই নারী আমাদের হেফাজতে রয়েছে। বিচারক ও আইনজীবী নেতাদের সাথে বৈঠক চলছে। যে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে সে অনুযায়ী আমরা ব্যবস্থা নেবো বলে জানান তিনি।
দৈনিক এরোমনি প্রতিদিন ডটকম তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন অনলাইন নিউজ পোর্টাল