ঢাকাসোমবার , ৬ মার্চ ২০২৩
  1. ই পেপার
  2. ক্যাম্পাস
  3. খেলা
  4. চাকরি
  5. জাতীয়
  6. জীবনযাপন
  7. ধর্ম
  8. পাঠক কলাম
  9. পাবনা জেলা
  10. বাণিজ্য
  11. বাংলাদেশ
  12. বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ সংবাদ
  15. বিশ্ব

৭ই মার্চ ১৯৭১’ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণ আমাদের স্বাধীনতা রক্ষাকবজ

বার্তা কক্ষ
মার্চ ৬, ২০২৩ ২:৪৬ অপরাহ্ণ
Link Copied!

মো. হাসান আলী

১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধ ছিল বাঙালি জাতির পরাধীনতা থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য সময়ের দাবী। ১৭৫৭ সালে ২৩ জুন ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির সাথে পলাশীর আমবাগান যুদ্ধে নবাব সিরাজউদ্দৌলার পরাজয়ের মধ্যদিয়ে ১৯০ বছরের গোলামী বরণ এবং ১৯৪৭ সালে পাকিস্তান নামক দেশ গঠনের মধ্যদিয়ে ২৪ বছরের নয়া ঔপনিবেশিক শাসনের অন্তিম সময় এসে দাঁড়ায় ১৯৭১ সাল। দীর্ঘ ২১৪ বছরের ্ঔপনিবেশিক শাসন-শোষণের শিকল ছিন্ন করে স্বাধীনতার জন্য ইতিহাসের কালজুড়ে আন্দোলন সংগ্রাম করেছে বাঙালি। ১৯৭১ সাল ছিল স্বাধীনতা সংগ্রামের চুড়ান্ত বোঝাপড়ার প্রেক্ষাপট। এই প্রেক্ষাপটে ১৯৭১ সালে ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের মধ্যদিয়ে শুরু হয় সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধ। এ কথা বলতেই হবে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণ না দিলে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার স্বপ্ন স্বপ্নই থেকে যেতো। বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণের মধ্যদিয়ে সাড়ে সাত কোটি বাঙালি স্বাধীতার জন্য সশস্ত্র সংগ্রামে ঝাঁপিয়ে পড়েন। একথা বলতেই হবে বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ ছিল বাঙালির স্বাধীনতা লাভের রক্তক্ষয়ী সশস্ত্র যুদ্ধের চুড়ান্ত দিক নির্দেশনা। যা আজকের বাংলাদেশের নতুন প্রজন্ম তখনকার বাস্তবতা না দেখলেও বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসি ভাষণ তাদের জন্য আপন দেশটির স্বাধীনতার রক্ষাকবজ।
স্বাধীনতার ইতিহাস সম্বলীত নান গ্রন্থে উল্লেখ পাওয়া যায়, বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ বিচক্ষণাতার দাবী রাখে। এ ভাষণ ‘স্বাধীনতার বীজমন্ত্র; সশস্ত্র যুদ্ধের অনপ্রেরণা এবং হাজার বছরের পরাধীনতার শেকল ভেঙ্ েবাঙালির কাঙ্খিত ‘স্বাধীনতার স্বপ্ন’ বাস্তবায়নের এক শক্তিশালী অস্ত্র। স্বাধীন জাতি রাষ্ট্র গঠনে সে ভাষনের সাবলীল ভাষা ভঙ্গি ও মানবিক কাঠামো ছিল হ্নদয়স্পর্শী’। ভাষনটি গোটা জাতির কাছে মনে হয়েছিলো, যেন ঐশী বাণী কিংবা মমতার স্পর্শে উচ্চকিত ভাষণ। আর এ কারণেই সাড়ে সাত কোটি বাঙালি নির্দ্বিধায় প্রাণ বিসর্জন দিতে পেরেছিলো স্বাধীনতার জন্য।
১৯৭১-এর ৭মার্চ ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে ( বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) বাংলাদেশের স্বপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ভাষণের পর থেকে স্বাধীনতার যাবতীয় প্রচার কর্মকান্ড মহান মুক্তিযুদ্ধ বঙ্গবন্ধুর নামেই পরিচালিত হয়েছে। তবেই সম্ভব হয়েছে বাঙলির কাঙ্খিত স্বাধীনতা লাভ করা। তবে এর পূর্বেও রয়েছে আরো ঐতিহাসিক ঘটনা। ৫২-র ভাষা আন্দোলন এবং ৬২-এর শিক্ষা আন্দোলন, ৬৭ সালে পাবনায় ভুট্টা আন্দোলন থেকে ৬৯ পর্যন্ত ছিল স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রস্তুতির পর্যায় কাল। ৬৬-এর ৬ দফা আন্দোলন এবং ৬৯-এর ১১ দফা আন্দোলন ও গণঅভ্যুত্থান, ৭০-এর সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগে নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জন। এর ধারাবাহিকতায় স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ’ গঠন আন্দোলনের শ্লোগান ‘জয় বাংলা, স্বাধীন বাংলার মহান নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব। মুক্তি যদি পেতে চাও বাঙালিরা এক হও। গ্রামে গ্রামে দুর্গ গড়ো-মুক্তি বাহিনী গঠন করো। এমন রক্ত গরম করা ¯েøাগান ছিল বাঙালির মুখে মুখে। অন্যদিকে ১ মার্চ থেকে শুরু হয় অসযোগ আন্দোলন, ২ মার্চ স্বাধীনতার পতাকা উত্তোলন, ৩ মার্চ স্বাধীনতার ইশতেহার ঘোষণা এবং জাতীয় সঙ্গীত নির্ধারণ এ সবই ছিল ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের পূর্বের ঐতিহাসিক ঘটনাবলী। ৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের পর থেকে পাল্টাতে থাকে বাঙালির আন্দোলন সংগামের প্রেক্ষাপট। ২৬ মার্চ বাঙালির অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। এই দিনই পাকিস্তানি শাসক গোষ্ঠী সারা দেশে সেনাবাহিনী লেলিয়ে দিয়ে অপারেশন সার্চলাইটের নামে ঝাঁপিয়ে পড়ে বাঙালির ওপর। শুরু হয় পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রতিরোধ যুদ্ধ। এ যুদ্ধে হানাদার সৈনিকেরা পারাজিত হলেও এপ্রিলে দ্বিতীয়দফা সেনাবাহিনী লেলিয়ে দিয়ে শুরু করে গণহত্যা, ধর্ষণ, বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে পুড়িয়ে এক মৃত্যুপুড়িতে পরিণত করে গোটা দেশকে। এরপর শুরু হয় স্বাধীনতার জন্য চুড়ান্ত মুক্তিযুদ্ধ। ১৬ ডিসেম্বর ৭১’ এ যুদ্ধের বিজয় অর্জিত হয় যা বাঙালির জীবনে শ্রেষ্ট অর্জন। ৯ মাসের এ যুদ্ধে পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত আমাদের আশ্রয় দিয়ে, খাবার দিয়ে, সশস্ত্র প্রশিক্ষণ দিয়ে, অস্ত্র দিয়ে যে অবদান রাখে তা আমাদের কৃতজ্ঞতার সাথে স্মরণ রাখতে হবে। স্মরণ রাখতে হবে আমাদের জাতীয় স্বাধীনতা রক্ষাকবজ বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ঐতিহাসিক ভাষনের তাৎপর্যের কথা।

দৈনিক এরোমনি প্রতিদিন ডটকম তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন অনলাইন নিউজ পোর্টাল