স্টাফ রিপোর্টার: পাবনার কৃতি সন্তান মহামান্য রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন মহোদয়ের রাষ্ট্রীয় সফরে পাবনায় শুভাগমন উপলক্ষে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের নির্দেশনায় পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ শাখা ছাত্রলীগ কর্তৃক আনন্দ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত প্রোগ্রামে উপস্থিত ছিলেন পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সংগ্রামী সভাপতি মিজানুর রহমান সবুজ ভাই,পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সাংগাঠনিক সম্পাদক-মুজিবুর রহমান খান,পৌর ১নং ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি-মাহিম ইকতিয়ার,জেলা ছাত্রলীগ নেতা আমানুল্লাহ খান শুভ
সাথে উপস্থিত ছিলেন পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ শাখা ছাত্রলীগের- অভিভাবক ও প্রতিষ্ঠাতা যুগ্ন আহবায়ক জাহিদ হাসান মামুন।তাছাড়া টেক্সটাইল কলেজের আরো ছাত্রনেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন-জাহিদুল ইসলাম,জাহিদ হাসান অর্নব,তানভীর ফাহিম,আসাদুল ইসলাম,শামীম হোসেন,সনি,আরিফুল ইসলাম,সেতু মল্লিক,ইমতেহান ইমন,ইজাজ আহমেদ,আব্দুস সামাদ তুষার,রিফাত প্রাঃ,আবির,অর্ক,জুবায়ের,অনিক কর্মকার সহ অনেকে।প্রোগ্রামে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি সবুজ ভাই বলেন আগামী ১৫ তারিখ পাবনার কৃতি সন্তান মহামান্য রাষ্ট্রপতির শুভাগমন উপলক্ষে আমাদের ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহন করা হয়েছে।সেই সুবাদে পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে আনন্দ মিছিলের আয়োজন করা হয়েছে।এবং আরো বলেন ১৬ তারিখ এডওয়ার্ড কলেজ মাঠে মহামান্য রাষ্ট্রপতির সংবন্ধনা অনুষ্ঠান হবে এবং সেখানে ব্যাপক সংখ্যক জনসমাগম হবে সেই সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের অবগত করেন।তিনি আরো বলেন হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একসময় আমাদের এই পাবনার মাটিতে প্রধানমন্ত্রী উপহার দিয়েছিল। এবং তারই সুযোগ্য কন্যা দেশরত্ন শেখ হাসিনা মহামান্য রাষ্ট্রপতি উপহার দিয়েছে। এই পাবনা ইতিহাস হয়ে থাকবে এই পাবনাকে সবাই চিনবে এর মাধ্যমে সারা বিশ্বের মানুষ চিনবে এজন্য সব সময় জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করি। এবং সকলকে এডওয়ার্ড মাঠে উপস্থিত থাকার আহ্বান জানিয়ে তিনি তার বক্তব্য শেষ করেন।
এসময় পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক জাহিদ হাসান মামুন ও শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে সবুজ ভাইয়ের মাধ্যমে মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে এই পাবনা টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ কে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করার দাবি উপস্থাপন করার অনুরোধ জানানো হয়। চলমান শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে মোহাম্মদ আল-আমিন (১২তম ব্যাচ) সবুজ ভাইয়ের সামনে শিক্ষার্থীদের প্রাণের দাবী দাওয়া তুলে ধরেন।এসময় তিনি বলেন আমাদের দেশের যে উন্নয়ন হচ্ছে এই উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি হচ্ছে এই টেক্সটাইল সেক্টর। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে বাংলাদেশে একটিমাত্র সরকারি টেক্সটাইল বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে যেটি দুঃখজনক হলেও সত্য। এবং আমাদের এই প্রতিষ্ঠানটির জন্ম ১৯১৫ সালে যা বর্তমান বাংলাদেশ টেক্সটাইল ইউনিভার্সিটির ও পূর্বে প্রতিষ্ঠিত হয়।শত বছরের পুরনো এই প্রতিষ্ঠানটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করা হলে দেশের অর্থনীতিতে বিশেষ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা রাখি। এবং এই প্রতিষ্ঠানে মেধাবী শিক্ষার্থীরাই এডমিশন পরীক্ষা দিয়ে ভর্তি হতে পারে এবং এই কলেজ থেকে পাশ করে বের হওয়া শিক্ষার্থীরা সুনামের সাথে দেশের অর্থনীতিতে অবদান রেখে যাচ্ছেন। এর আগেও আমরা আমাদের বড় ভাইয়েরা আমাদের কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরিত করার জন্য আন্দোলন করেছিলাম কিন্তু কোন কাজ হয়নি। তো আশা করি আপনাদের মাধ্যমে মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে আমাদের এই ছোট্ট দাবিটি উপস্থাপন করা হলে মহামান্য রাষ্ট্রপতি আমাদের নিরাশ করবেন না। এবং আরো বলেন আমাদের এই কলেজটিকে যদি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নামে নতুন করে নামকরণ করা হয় তাহলে সবাই অনেক খুশি হবেন।
দৈনিক এরোমনি প্রতিদিন ডটকম তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন অনলাইন নিউজ পোর্টাল