বিশেষ প্রতিনিধি:
মো: আখিরুল ইসলাম পাবনার ভাঙ্গুড়া উপজেলার নির্ভীক সাংবাদিক মো: মানিক হোসেনের উপর হামলা চালিয়ে তার বাম-পা ভেঙ্গে দেওয়ার ঘটনার মামলা রুজু করা আসামিদের ৪৮ ঘন্টাও গ্রেফতার করতে পারেনি থানা পুলিশ। আসামিরা গ্রেফতার হয়নি বলেন থানার অফিসার্স ইনচার্জ মো: নাজমুল হোসেন। প্রশাসনের এমন ভূমিকায় মিশ্র প্রতিক্রীয়া দেখা দিয়েছে সাংবাদিক মহলে।
সাংবাদিক মানিক হোসেন উপজেলার কইডাঙ্গা নতুন পাড়া গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: ইসমাইল হোসেনের ছেলে।তিনি দৈনিক খোলা কাগজ পত্রিকা ও দৈনিক সিনসা ভাঙ্গুড়া প্রতিনিধি ও ভাঙ্গুড়া প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক।
জানা যায়,গত মঙ্গলবার ১৬ ই এপ্রিল সকাল ৯.টার দিকে নকল দুধ তৈরির সংবাদ প্রকাশের জেরে রাস্তায় ঠেকিয়ে পিটিয়ে পা ভেঙে দিয়েছে নকল দুগ্ধ ব্যবসায়ীদের ভাড়াকরা সন্ত্রাসীরা মারার একপর্যায়ে অজ্ঞান হয়ে পড়েন তিনি। এ সময় মৃত ভেবে চলে যান তারা। ট্রিপল ৯৯৯ কল করলে উদ্ধার করেন থানা পুলিশ। বর্তমানে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন তিনি। ঘটনার বিষয়ে তার বাবা বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: ইসমাইল হোসেন এজাহার দায়ের করে আসামি মো: রাজিব, মো: বায়জিদ, মো: মাহাতাব মো: আবুল বাসার ও মো: বাবু আলির নামে। তবে মামলা রুজু করা ৪৮ ঘন্টাও গ্রেপ্তার হয়নি আসামি।
সাংবাদিক মানিক হোসেন জানান,আমার ঘটনার আসামী এখনো গ্রেফতার হয়নি। তবে সঠিক তথ্য সংগ্রহে নির্ভীক সাংবাদিকদের উপর হামলা চালাচ্ছে ভেজাল কারবারিরা। শিশু খাদ্য দুধ তৈরিতে ব্যবহার হচ্ছে সোয়াবিন তৈল,কস্টিক সোডা,সোডিয়াম বি-কার্বোনেট। এসব ভেজাল কারবারিদের টাকায় অনেকেই ম্যানেজ করেই তৈরি হচ্ছে ভেজাল দুধ।
এ বিষয়ে ভাঙ্গুড়া প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক মো: রায়হান আলি বলেন,সাংবাদিকের উপর হামলার ঘটনাটি ন্যাক্কারজনক। তবে হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবিতে পুলিশের তৎপরতা চোখে পড়ার মতো না।
তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মো: মোতালেব হোসেন বলেন,আমি গিয়েছিলাম আসামিরা পলাতক আছে,খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। দ্রুতই গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
দৈনিক এরোমনি প্রতিদিন ডটকম তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন অনলাইন নিউজ পোর্টাল