ঢাকাসোমবার , ২২ এপ্রিল ২০২৪
  1. ই পেপার
  2. ক্যাম্পাস
  3. খেলা
  4. চাকরি
  5. জাতীয়
  6. জীবনযাপন
  7. ধর্ম
  8. পাঠক কলাম
  9. পাবনা জেলা
  10. বাণিজ্য
  11. বাংলাদেশ
  12. বিজ্ঞান-প্রযুক্তি
  13. বিনোদন
  14. বিশেষ সংবাদ
  15. বিশ্ব
আজকের সর্বশেষ সবখবর

তীব্র তাপপ্রবাহে ইউরোপে মৃত্যু বেড়েছে ৩০ শতাংশ

বার্তা কক্ষ
এপ্রিল ২২, ২০২৪ ২:৩৩ অপরাহ্ণ
Link Copied!

 

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
সাম্প্রতিককালে ইউরোপে গরমের তীব্রতা বেড়েছে, যা মানুষের স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকি তৈরি করছে বা মানবদেহ এই তাপমাত্রার সঙ্গে অ্যাডজাস্ট করতে পারছে না। মূলত জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে তাপমাত্রা ক্রমেই বাড়ছে।

 

২২ এপ্রিল, সোমবার ইউরোপের কোপারনিকাস জলবায়ু মনিটরিং সার্ভিস ও বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থার প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।

সংস্থাগুলোর প্রতিবেদনের বরাত দিয়ে রয়টার্স জানায়, ২০২৩ সালের জুলাইয়ে ইউরোপের বিভিন্ন অঞ্চলে অসহনীয় তাপপ্রবাহ দেখা যায় যা মহাদেশটির দক্ষিণাঞ্চলের ৪১ শতাংশ এলাকাতে চরম প্রতিকূল অবস্থার সৃষ্টি করে।

এই তাপপ্রবাহের প্রভাব চলতি বছরেও ব্যাপক আকারে ইউরোপের জনজীবনকে অতিষ্ট করে তুলছে। হিটওয়েভের সময় বাইরে কাজ করা নাগরিকগণ এবং বয়স্ক ও হৃদরোগ-ডায়েবেটিস আক্রান্তরা অধিক স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছে।

কোপারনিকাস জলবায়ু মনিটরিং সার্ভিস ও বিশ্ব আবহাওয়া সংস্থা বলে, বিগত ৩০ বছরে তাপপ্রবাহজনিত সমস্যার কারণে ইউরোপে মৃত্যু প্রায় ৩০ শতাংশ বেড়েছে।

২০২৩ সালে স্পেন, ফ্রান্স, ইতালি ও গ্রিসের কিছু অংশ দশ দিন পর্যন্ত ৪৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের বেশি তাপমাত্রা অনভূত হয়। এমন পরিস্থিতিতে হিট স্ট্রোকের আশঙ্কা থাকে। এসময় স্বাভাবিকের চেয়ে ৭ শতাংশ বেশি মৃত্যু রেকর্ড করা হয়। সে সময় ৪৪ বছর বয়সী এক ব্যক্তি রোড মার্কিং করার সময় অজ্ঞান হন ও মারা যান।

উত্তপ্ত আবহাওয়ার কারণে ২০২২-২০২৩ সালে আলপাইন গ্লেসিয়ারের ১০ শতাংশ বরফ গলে যায়। এর ফলে স্লোবেনিয়ার ১৫ লাখ মানুষ ভয়ঙ্কর বন্যার মুখোমুখি হয়।

২০২৩ সালের চেয়ে এ বছর পৃথিবীর তাপমাত্রা আরও বাড়ার আশঙ্কায় ইইউ-এর পরিবেশ সংস্থা গত মাসে সরকারগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থা প্রস্তুত ও বাইরে কাজ করে এমন কর্মীদের চরম তাপ থেকে রক্ষার আহ্বান জানিয়েছে।

ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি গরম ছিল গত বছর। ইউরোপ হলো বিশ্বের দ্রুততম উষ্ণতার মহাদেশ।

এই তীব্র তাপপ্রবাহের অন্যতম কারণ হলো গ্রিন হাউজ গ্যাসের নির্গমন। তাছাড়া আবহাওয়ার প্রাকৃতিক ইভেন্ট এল নিনোও এক্ষেত্রে অবদান রেখেছে।

সূত্র: রয়টার্স

দৈনিক এরোমনি প্রতিদিন ডটকম তথ্য মন্ত্রণালয়ের নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন অনলাইন নিউজ পোর্টাল